ছোটগল্প :অধরা
শেখ আশরাফুল ইসলাম
অধরা দৃশ্য – ০৫
সত্য কথা বলতে কি তোমার অধরা আর জীবিত নেই। শুনতে জানি তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে। হবেই আসলেই তুমি ওকে বড্ড বেশি ভালবেসে ছিলে আসলে কাউ কে বেশি ভালবাসলেই সে কাঁদায় অধরা ও তার ব্যতিক্রম নয়।তুমি জানতে অধরা জেদি একগুঁয়ে স্বভাবের মেয়ে তবু ও তুমি পরপর তিন দিন তার
থাকে কথা বলো নি কিন্ত কেন?না কি তুমি ওকে তোমার প্রেমের জালে ফাঁসাতে চেয়ে ছিলে অন্য মেয়ের সাথে সুখের সংসার করবে বলে।ওর,বাবা অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করবে বলে।কিন্ত,জানি মানুষের স্বভাব এমনি হয় “আরো শব্দের দাশ”দেখ তা কি হয়..সে গিয়েছে গিয়েছে আমারি কাছে আমি তো ঐ বট গাছেই ছিলাম বহু দিন তোমার এখানে আসার জন্য।কিন্ত,কেন আসার জন্য তাও আজ তোমাকে বলবো সে সময় টা অবশ্য মুক্তি যুদ্ধেয় সময়।তোমার দাদা ঐ
পাকিস্তানি দের সাথে হাত মিলিয়ে আমার উপর কি নির্মম অত্যাচার টাই না করলো। শেষ পর্যন্ত আমাকে বাঁচতে আর দেই নি। সে যাইহোক ভাল করে ছিল অনুভূতি মৃত হয়ে বেঁচে থেকে লাভ কি বলো?তার চেয়ে বরং মৃত না হয়ে অমর হয়ে আছি এ জগতে অন্তত এ জগত ধ্বংস অবধি।তোমার দাদা আবুল কাশেম আর তালহা বিন সমশের মিলে আমার যা করে ছিল তা না হয় নাই বললাম।শেষ পর্যন্ত ঐ বট গাছ টাতে আমাকে ঝুলিয়ে দেয় সেই থেকে আমি
ঐখানে।পোহর গুন ছিলাম কখন আসবো।আর সময় যখন এসেই গেল তখন আর দেরি করে লাভ কি?তোমার ভালবাসা অধরা তোমার সাথে কথা না বলতে পেরে এই বট গাছেই এসে ঝুলে পড়ে তার পর থেকে আমি অধরা।আহ!বেচারি বড্ড জেদি ও ভাল মেয়ে ছিল বটে..হা হা হা… এখন আমি তোমার তুমি আমার।কি মজা কি মজা?আমাকে বোঝা কি এতো সোজা। হা হা হা শব্দে সে হাঁসতে হাঁসতে যেন বাতাসে মিলিয়ে গেল……কে যেন তার কাঁদের উপর এসে হাত দিল,চমকে উঠে, ভীত স্বরে অর্ণব বললো কে?অর্পিতা বললো ভাইয়া আমি…।
********সমাপ্ত ********
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply