বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং অভিনেতা কাজী হায়াৎ গত কয়েকমাস ধরে আমেরিকায় রয়েছেন। ঘাড়ের রক্তনালীতে ব্লক ধরা পড়লে তাকে দ্রুতই দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজের উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন। শরীরের সাথে যুদ্ধ করলেও নতুন ছবি নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন সুদূর প্রবাসে থেকেও! নিয়মিত চেকআপ ও ওষুধ-পথ্য নেওয়ার কারণে আপাতত দেশে আসার ব্যাপারে কিছুই বলতে পারলেন না বরেণ্য এই নির্মাতা।
গত বছর ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে নিয়ে একটি ছবি তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশ বরেণ্য এই নির্মাতা। ছবির নাম রেখেছিলেন ‘বীর’। এই ছবিটি হবে এই নির্মাতার ৫০তম ছবি। এর আগে অনেক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দেন তিনি। এরমধ্যে আম্মাজান, ইতিহাস, দাঙ্গা, ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না, দেশপ্রেমিক, কাবুলিওয়ালা, লুটতরাজ, কষ্ট, আব্বাজান, তেজী উল্লেখযোগ্য।
ছবিটি প্রসঙ্গে কাজী হায়াত জানালেন, ‘শরীরটা খুব একটা ভালো নেই। শরীরটা সাপোর্ট দিলেই আমি কাজ শুরু করবো। অনেক প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক সফল ছবি দিয়েছি। শাকিব খানকে নিয়ে ‘বীর’ ছবিটি করার মত সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া আছে আমার। খুব ইচ্ছে শেষ ছবিটা করেই মরতে চাই।’
গেল বছরের শেষের দিকে হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কাজী হায়াতের ঘাড়ের একটি রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়লে ডিসেম্বরের শেষের দিকে তাকে নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে নিউইয়র্কের প্রেসবাইটেরিয়ান হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এর আগে গত বছরের মার্চে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে একবার চিকিৎসা নেন কাজী হায়াৎ। ২০০৫ সালে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয় তাঁর। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে আবারও হৃৎপিণ্ডে সমস্যা দেখা দিলে বরেণ্য এই নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তারপর গত বছর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পান তিনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply