শ্রীলঙ্কায় গির্জা, হোটেলসহ পৃথক আট স্থানে বোমা হামলায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় ও বয়স জানানো হয়নি। জানা যায়নি নাগরিকত্ব।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। আর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুয়ান জয়াবর্ধনা।
দফায় দফায় বোমা হামলায় শ্রীলঙ্কায় শেষ খবর পর্যন্ত ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশিও রয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কিছু মানুষ, যাদের মধ্যে দুই বাংলাদেশিও আছেন। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কলম্বো ও এর আশপাশের তিন গির্জা এবং অভিজাত হোটেলে এ হামলা চালানো হয়। কয়েকঘণ্টা পর হামলা হয় দেহিওয়ালা জেলার একটি হোটেলে, আরেকটি হামলা হয় দেমাতাগোদা জেলায়। হামলার পর ঘটনাস্থলে পড়েছিল মানুষের লাশ।
শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম বলছে, রোববার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপন করা হচ্ছিলো গির্জাগুলোতে। এর মাঝেই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় বোমা হামলা হয়। আধাঘণ্টার মধ্যেই হামলা হয় কলম্বোর ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্টিন গির্জা ও ২৫০ কিলোমিটার দূরে বাট্টিকালোয়ার জিওন গির্জায়।
প্রার্থনালয়গুলো যখন কাঁপছিল, সমানে হামলা হয় কলম্বোর অভিজাত কিংসবারি, সাংগ্রিলা এবং সিনামোন গ্র্যান্ড হোটেলে। এই হোটেলগুলোতে তখন বিপুলসংখ্যক বিদেশি নাগরিক ছিলেন।
পুরো কলম্বো ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে না উঠতেই দেহিওয়ালা জেলা ওই হোটেলে এবং দেমাতাগোদা জেলার একটি স্থাপনায় ফের হামলা হয়।
হামলার পর দেশটিতে ১২ ঘণ্টার (সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা) কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুইদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট অপারেশন বন্ধের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
গুজব এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলো।
Leave a Reply