হাদীস: হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মায়ের গর্ভাশয়ের মধ্যে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত রেখেছেন। মায়ের গর্ভাশয়ে যখন কোন বীর্য ঢুকে তখন উক্ত ফেরেশতা আল্লাহর কাছে জিজ্ঞেস করেন, হে বারী তা‘আলা বীর্য কি করব? যদি আদেশ হয় তাকে সামনে পরিচালনা কর।
তখন গর্ভাশয়ের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপর যতদিন বীর্য হিসেবে থাকার নির্দেশ দেন তা বীর্য হিসেবে থেকে যায়। তারপর আস্তে আস্তে যখন উহা জমাট রক্তে রূপান্তরিত হয়, তখন ফেরেশতা আবার বলেন, হে বারী তা‘আলা এখন উহা জমাট রক্তে রূপান্তরিত হয়েছে? তারপর আল্লাহর আদেশ হলে একে গোশতের টুকুরায় রূপান্তরিত হয়েছে? তারপর আল্লাহর আদেশ হলে একে গোশতের টুকরায় রূপান্তরিত করা হয়।তখন উক্ত ফেরেশতা পুনরায় বলেন। ইয়া আল্লাহ! এখন এটা গোশতের টুকরায় রূপান্তরিত হয়েছে।
অতঃপর মহান আল্লাহ তা‘আলা তার সৃষ্টি বস্তুর পূর্ণত্বে রূপ দেয়ার ইচ্ছে করলে উক্ত ফেরেশতাকে তা পরিচালনা করার নির্দেশ দেন। তখন উক্ত ফেরেশতা আবার আরজ করেন, হে বারী তা‘আলা! এখন তো তা পূর্ণতালাভ করেছে।
এখন এতে রূহ দেয়ার সময় হয়েছে এখন এটা কি পুরুষ হবে না মহিলা? তারপর এটাও যখন সমাপ্ত হয়, তখন উক্ত ফেরেশতা আবার জিজ্ঞেস করলেন, হে বারী তা‘আলা এখন তা বদকার হবে না নেককার হবে। অতঃপর আদেশ হলে পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, এটার রিযিক কি হবে? এটার আদেশ হলে।
তারপর পুনরায় জিজ্ঞেস করেন। এখন তার হায়াত কতদিন হবে? তারও আদেশ হলে উক্ত ফেরেশতা তার পরিচর্যা করতে থাকেন। হযরত রাসূল পাক (সাঃ) বলেন, এসব কিছু যা ঘটে তার মায়ের উদরে থাকা অবস্থায়ই নির্ধারিত হয়ে থাকে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply