হাদীস: হযরত জাবের (রা) বলেন, একবার আমি নবী করীম (সাঃ) এর খেদমতে হাযির হয়ে দেখলাম, তিনি মসজিদে আছেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট বেলা পূর্বে থাকতেই উপস্থিত হয়েছিলাম। তিনি আমাকে দু’রাকাত নামায পড়ার আদেশ করলেন, ঐ সময় তাঁর নিকট একটি উটের মূল্য পাওনা ছিলাম।
অতঃপর রাসূলেপাক (সাঃ) আমার পাওনা পরিশোধ করে দিলেন এবং আরো কিছু বেশীও দিলেন।
মসজিদে ঢুকে প্রথমে দু’রাকাত নামায পড়বে:
হাদীস: হযরত আবু কাতাদা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে বসার পূর্বে সর্বপ্রথম দু’রাকাত নামায পড়ে নিবে।
অযু অবস্থায় নামায পড়ে বসে থাকা:
হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি নামায পড়ে অযু অবস্থায় জায়নামাযে বসে থাকে ফেরেশতারা তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত দোয়া করতে থাকেন।
ফেরেশতারা বলতে থাকেন, ‘‘হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর। তুমি তার প্রতি রহম কর।’’
রাসূলের জমানায় মসজিদে নববীর অবস্থা:
হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জমানায় মসজিদের নববীর দেয়াল পাথর দিয়ে এবং মসজিদের ছাদ খেজুরের ডাল দিয়ে তৈরি ছিল। খেজুর গাছ দ্বারা খুঁটি দেয়া হয়েছিল।
হযরত আবু বকর (রা) তাঁর খিলাফত আমলে কিছুই বাড়াননি। হযরত ওমর (রা) মসজিদে নববীর মসজিদে সম্প্রসারণ করেন, কিন্তু তিনিও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগের ন্যায় পাথর, খেজুর ও খেজুরের গাছ দ্বারা মসজিদ বড় করেছিলেন।
হযরত ওসমান (রা) তা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করেন কিন্তু দেয়াল নকশা করা পাথর ও চুন সুরকির গাঁথুনির সাহায্যে তৈরি করেন, খুঁটিগুলোও নকশী করা পাথর দ্বারা তৈরী করেন এবং তার ছাদ ‘সাজ’ নামক এক প্রকার কাঠ দ্বারা তৈরী করেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি : / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply