সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গত ৮ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও ছাত্রলীগের।
রাতভর ওই সংঘর্ষের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে প্রায় সব কিছু ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা করা হয়।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাত দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সারা দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে।
অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে দায়ের করা ওইসব মামলার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয়রানি আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন জানিয়ে নূর বলেন, হামলার ঘটনার ভিডিও দেখে ‘প্রকৃত আসামিদের’ চিহ্নিত করে মামলায় আসামি করতে হবে।
“শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমাদের এই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের নানারকম ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সেজন্য আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এবং সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ওই আন্দোলনের মধ্যে ১১ এপ্রিল সারা দেশে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে রাস্তায় নামে। বিক্ষোভ আর সড়ক অবরোধে কার্যত অচল হয়ে যায় রাজধানীর রাজপথ।
সেদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে এই আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোটা নিয়ে যেহেতু এত কিছু, সেহেতু কোনো কোটাই আর রাখা হবে না।
পরদিন কয়েকটি দাবি রেখে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন, অতি দ্রুত তার প্রজ্ঞাপন জারি করে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করছি আমরা।”
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন ও মুহম্মদ রাশেদ খাঁন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকলেও আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ছিলেন না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামুন টেলিফোনে বলেন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে ফুটবল খেলা থাকায় তিনি সেখানে আছেন, সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারেননি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply