বেসরকারি খাতের অধিকাংশ ব্যাংকই নগদ টাকার সংকটে পড়ে গ্রাহকদের জন্য চালু করেছে বিভিন্ন প্রকার মাসিক সঞ্চয় স্কিম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন বেশিরভাগ ব্যাংক ৯ থেকে ১৩ শতাংশ সুদে মেয়াদী আমানত নিচ্ছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর আমানতের গড় সুদহার ছিল ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। বেসরকারি সব ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারি ব্যাংকও সুদহার বাড়িয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকই আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে কর্মকর্তাদের মাঠে নামিয়েছে।
সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে এককালীন ১০ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। স্থায়ী আমানতে দেওয়া হচ্ছে ৬ বছর ৩ মাসে দ্বিগুণ টাকা। সঙ্গে রয়েছে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে ৫ লাখ টাকা এবং স্বাভাবিক মৃত্যুতে ৫০ হাজার টাকার জীবন বিমা সুবিধা। বিমা সুবিধার প্রিমিয়াম পরিশোধ করা হবে ব্যাংক থেকেই।
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, দু-একটি বেসরকারি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতির কারণে গ্রাহকরা টাকা তুলে নিচ্ছেন। মেয়াদী আমানত তুলে নিচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও। এসব কারণে তারল্যের ওপর চাপ বাড়ছে। ভবিষ্যতে সংকট আরও তীব্র হলে এর প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ব্যাংকে টাকার সংকট নেই। টাকা কমে গেছে বেসরকারি ব্যাংকে। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় টাকার সংকটের বড় অংশই পূরণ করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক।
ব্যাংকিং খাতের এই সংকট মোকাবেলায় সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দু-দফায় বৈঠক করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। সর্বশেষ ১ এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বেশকিছু দাবি মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এতদিন সরকারি সংস্থার তহবিলের ৭৫ শতাংশ অর্থ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে জমা রাখা হতো। বাকি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত রাখা হতো বেসরকারি ব্যাংকে। এখন থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তহবিলের ৫০ শতাংশ সরকারি ও বাকি ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখতে হবে। বাধ্যতামূলক নগদ জমার হার সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে কমানো হয়েছে ১ শতাংশ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply