ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। সেই স্ট্যাটাসে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর চরিত্রহীনতার পরিচয় পাওয়া যায়।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
গ্রেফতারের পর তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ।
তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে গ্রেফতারের বিষয়ে শুক্রবার সকাল ১১টায় দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ বলেছে, আকাশের পরিবার চান্দগাঁও থানায় মামলা করার কথা রয়েছে। তবে পরিবার মামলা না করলে আকাশের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের ‘ডায়িং ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মিতুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করা হচ্ছে।
পুলি0শ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ব্যাপারে যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব বিষয় যাচাই চলছে। আকাশের মৃত্যুর পেছনে যদি তাদের কারও ইন্ধন থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মোস্তফা মোরশেদ আকাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুলিশ জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার ভোর থেকে আকাশ তার ফেসবুকে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ও বিভিন্ন ছবি সম্বলিত যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন সেটি ডিলিট করে দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি আমাদের তদন্তের বিষয়। ডিলিট হলেও সেই স্ট্যাটাস রিকোভার করা সম্ভব।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply