রাজশাহীর পুঠিয়ায় সরিষাবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক ছাত্রের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এবাদুল হক। এ ঘটনায় সোমবার (২৬ আগষ্ট) সকাল থেকে ভূক্তভোগী ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে সভাপতির বিচার দাবি করেছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের দু’একজনের মাথার চুল বড় থাকায় স্কুলের সভাপতি সেলুন থেকে কেচি এনে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর প্রায় সকল ছাত্রের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন। এ ঘটনায় অনেক ছাত্র লজ্জায় স্কুলে আসছে না। আবার অনেকেই সেলুনে গিয়ে চুল ঠিক করেছে। সভাপতির এমন কর্মকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস করবে না বলেও দাবি করে।স্কুলে আগত অভিভাবক সালাম হোসেন ও তাহের আলী বলেন, ছেলে-মেয়েরা কোনো অপরাধ করলে তারা আমাদের জানাতে পারতো।
গত সপ্তাহে আমাদের ছেলের চুল কাটানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তারও চুল কেটে দিয়েছে। এখন লজ্জায় সে আর এই স্কুলে আসতে চাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, কোনো প্রকার নিয়মনীতি না মেনে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তাদের ইচ্ছেমত স্কুল চালাচ্ছেন। স্কুলে দু’এক জন ছাত্রের চুল বড় থাকতে পারে। তাই বলে গড়ে অর্ধশতাধিক ছাত্রের মাথার চুল কাটতে পারেন না। চুলের বিষয়টি আগে ছাত্রের অভিভাবকদের অবহিত করা প্রয়োজন ছিল। অথবা যে ছাত্রের চুল বড় তাদের ক্লাসে ঢুকতে না করতে পারতো।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী সরদার বলেন, সভাপতি কি হিসেবে ছাত্রদের মাথার চুল কাটলেন সেটা আমার মাথায় আসে না। তিনি তার মতো করে চলেন। এ বিষয়ে আমাদের সাথে সভাপতির কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply