গ্রেপ্তার সিয়ামের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, পরিবারের অমতে তারা ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীর বাবার বাড়ির লোকজন তাদের বিয়ে মেনে নেয়। পরে সিয়াম শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মনোয়ারা পারভীন মুন্নী হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মোশারফ হোসেন সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার আদালতে হাজির করলে সিয়ামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।“বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই সিয়ামের স্ত্রী মনোয়ারা পারভীন মুন্নী একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বলে সিয়ামের ভাষ্য।”
এসআই মাহমুদুল বলেন, এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদের জেরে সিয়াম তার স্ত্রীকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান।
“গত ৬ এপ্রিল মুন্নীর মা, বাবা ও ভাই বাড়িতে না থাকায় সুযোগে সকাল ৯টার দিকে সিয়াম তাকে গলা কেটে হত্যা করেন।”সিয়ামের বরাত দিয়ে এসআই মাহমুদুল বলেন, মুন্নীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সিয়াম রক্ত মাখা পোশাক পরিবর্তন করে শ্বশুড়ের পোশাক পরে বের হয়ে যান। সেখান থেকে প্রথমে ময়মনসিংহ, বান্দরবন, কক্সবাজার, বগুড়া হয়ে শেষে দিনাজপুর যান। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের তার দূরসম্পর্কের মামার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যার ঘটনার দিন (৬ এপ্রিল) রাতে নিহতের ভাই মো. রমজান বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় সিয়ামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন বলে এসআই মাহমুদুল জানান।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply