২০০০ সালের ২২ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সফর উপলক্ষে কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় একটি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে।
পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় সেদিনই কোটালীপাড়া থানার এসআই নূর হোসেন একটি মামলা করেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জনের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।
সোমবার সকালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। এ মামলার পেপারবুক থেকে পড়া শুরু করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম। এ মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ছাড়াও রাষ্ট্রপক্ষে ৫ আইনজীবী রয়েছেন।
এরপর ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান গোপালগঞ্জ আদালতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সদস্য মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালে মামলাটি ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এ ছাড়া চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলার রায়সহ সব নথিওই বছরের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের পর ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হলো।
মামলার আসামিরা হলেন মো. মহিবুল্লাহ, মুন্সি ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান। বাংলাদেশে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি ইতিমধ্যে কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply