সম্পূর্ণ গ্রামবাংলার পটভূমিতে নির্মিত, পারিবারিক ও প্রেমের গল্পের ছবি ‘মনপুরা’তে অভিনয় করে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন এই সিনেমার নায়িকা ফারহানা মিলি। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি যখন মন্দা সময় কাটিয়ে ভালোর দিকে যাচ্ছিল ঠিক তখনই এই ছবির মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হন মিলি। এরপর তাকে শোবিজে খুব একটা দেখা যায়নি বললেই চলে।
এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটলেও এর আগে টিভি নাটক ও মঞ্চে অভিনয় করতে তিনি। বড় ও ছোট দুই পর্দাতেই তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। দর্শক তাকে সব সময় পর্দায় দেখলেও এর বাইরে কোথাও হয়তো দেখেন নি। ছাত্রজীবন থেকেই মঞ্চ নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন মিলি। বিশেষ করে নাট্যকেন্দ্র ও লোক নাট্যদলের হয়ে অসংখ্যবার মঞ্চে অভিনয় করেছেন ‘মনপুরা’ খ্যাত এই তারকা।
সিনেমা, নাটক ও পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে এখন তাকে মঞ্চ নাটকে দেখা যাচ্ছে না। সর্বশেষ ২০০৮ সালে নাট্যকেন্দ্রের হয়ে ‘প্রজাপতি’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। নতুন খবর হলো প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও মঞ্চে ফিরছেন এই অভিনেত্রী। নতুন করে আবার মঞ্চে ফেরাটা তার জন্য বড়ই আনন্দের।
ফারহানা মিলি বলেন, আমি মঞ্চের সাথে সবসময়ই জড়িত ছিলাম। আগে নিয়মিত অভিনয় করতাম কিন্তু এখন পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে সেটা আর হয়ে উঠছে না। তবে অনেকদিন পর ফিরছি এটাই অনেক আনন্দের।
তিনি আরও বলেন, লোকনাট্য দল ও নাট্যকেন্দ্র- দল দুটির ব্যানারে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব এসেছে। আমিও মানসিকভাবে মঞ্চ নাটকে ফেরার পরিকল্পনা করেছি। এছাড়া কয়েকটি রেপার্টরি নাটকেও অভিনয়ের প্রস্তাব আছে। ইচ্ছা আছে শিগগিরই মঞ্চে কাজ করার। মঞ্চে কাজ না করলেও টেলিভিশন নাটকে কিন্তু আমি নিয়মিত কাজ করি। এখন আমার ছেলেটাও বড় হয়েছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে এখন মঞ্চে সময় দিতে পারব।
আগের মত খুব একটা নিয়মিত না হলেও মাঝে মাঝে টিভি নাটকে তার দেখা মেলে। মিলি অভিনীত দুটি ধারাবাহিক নাটক ‘চিটিং মাস্টার’ ও ‘গুড্ডু বুড়া’ আরটিভি এবং দুরন্ত টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে। এছাড়াও আগামী ২২ জুলাই থেকে তার অভিনীত নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ঘুমন্ত শহরে’ এনটিভিতে প্রচার শুরু হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply