বেশ জনপ্রিয় হয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার বাইরে রয়েছেন গায়ক তৌসিফ আহমেদ। ২০১৫ সালের পর আর কোনো অ্যালবাম প্রকাশ করেননি এই গাংক। হঠাৎ করেই যেন নিজেকে আড়াল করে নিয়েছেন এই গায়ক।
অথচ অনেকেই হয়তো জানেনই না যে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন এই গায়ক। গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি।
গায়ক তৌসিফের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মেরুদণ্ডে টিউমার ধরা পরে তৌসিফের। এর সঙ্গে দেখা দেয় ডায়াবেটিসের সমস্যা। যে কারণে অস্ত্রোপচার করতেও বেগ পেতে হয় তাকে।
অবশেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে টিউমারের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। এখন কিছুটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি ভালো হয়ে শ্রোতাদের মাঝে ফিরে আসতে নিতে হবে বেশ কিছু সময়।
নিজের অসুস্থতার কথা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তৌসিফ গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সেখানে তিনি এবারের ঈদের দিনে তার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। তৌসিফ বলেন, ‘মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এলাম যেন। আল্লাহ তার অশেষ করুণায় সুস্থ হয়ে উঠছি। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আবারও পুরোদমে গানে ফিরতে পারি।’
স্ট্যাটাসে তৌসিফ লেখেন,‘ঈদের দিন বিকেল বেলা, ১১ মিনিটের মত আমার হৃদ স্পন্দন প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ, আমার সহধর্মিণী মানে আমার বউ তখনও নাকি নাছোড়বান্দা আমার হৃদ স্পন্দন ফিরিয়ে আনতে।
বার বার আমার বুকে দুহাতে জোরে জোরে মারছে আর চিৎকার করে বলছে আমাকে ফিরে আসতে। সবাই তাকে সান্তনা দিয়ে বলছিল কিন্তু সে নাকি কারও কোনো কথাই শুনছিল না।
ঠিক ১১ মিনিট পর আমার চোখ খুলল, দেখলাম শত শত মানুষ আমাকে ঘিরে আছে আর আমার মাথাটা আমার সহধর্মিণীর কোলে রাখা। সবাই কেমন জানি অবাক চোখে আমাদের দেখে আছে।
আমার হৃদ স্পন্দন বন্ধ হওয়া ১১ মিনিট হলো আর আমাকে ফিরিয়ে আনার সবার চেষ্টার এ কথাগুলো বলেছিলেন আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ডাক্তার। তিনি খুব অবাক হয়ে বলছিলেন যে তার জীবনে এমন ঘটনা নাকি তিনি কখনওই দেখেননি।
সেদিন কি আমার মৃত্যু হয়ে ছিলো কিনা জানি না তবে সেই ১১ মিনিটের অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি। এই ১১ মিনিট ছিলো আমার এ পুরো জীবনে পাওয়া সবচেয়ে সুখের মুহূর্ত।
এমন একটা শান্তির মুহূর্ত যা প্রকাশের কোনো সঠিক শব্দ আমার সত্যিই জানা নেই। শুধু একটা কথাই বলতে পারি, মৃত্যু যদি আসলেই এমন হয় তাহলে আমি বলব মৃত্যুকে ভয় পাবার আসলেই কিছু নেই। মৃত্যুর স্বাদ সত্যিই অনেক অনেক অনেক মধুর, যন্ত্রণাহীন ও শান্তির।
স্টিভ জবসের শেষ কথা ছিল ‘ওহ বাহ! কি শান্তি. কি শান্তি’ আমিও ঠিক একই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, মৃত্যু সত্যি সত্যিই ”WOW’ ‘OH WOW’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply