সৌদির রাজপরিবারের সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার ঘটনায় ১৬ সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খাসোগি হত্যায় তাদের ভূমিকা থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।
গত বছরের অক্টোবরে তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঘটানো হত্যাকাণ্ডটিকে নিয়ে কংগ্রেস থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ আসছিল। এর প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও এ ঘোষণা দিলেন।
ওই ঘটনার পর সৌদি আরবের মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিরীক্ষা করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এসব ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে জানায়, পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈদেশিক কার্যক্রমের ৭০৩১ (সি) ধারা এবং রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্ট অব ২০১৯ এর আওতায় এদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আনতে গেলে তাকে আগে থেকে প্রস্তুত থাকা একদল কর্মকর্তা হত্যা করে। শুরুতে তুরস্ক খাসোগিকে হত্যার অভিযোগ আনলে সৌদি তা অস্বীকার করে।
পরে বিভিন্ন প্রমাণ প্রকাশ্যে আসলে সৌদি খাসোগিকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত খাসোগির মৃতদেহের সন্ধান দেয়নি সৌদি।
এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদির রাজপরিবারের উঁচু পর্যায়ের হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। তাছাড়া ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি হাত রয়েছে। যদিও সৌদির পক্ষ থেকে খাসোগি হত্যায় রাজপরিবারের কারও জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। খাসোগি হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিচার করছে সৌদি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply