দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নতুন করে পাবনায় বিএনপির আরও চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ নিয়ে ২ দিনে তৃণমূল বিএনপির ১৭ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি।
২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনা বিএনপির ওই চার নেতাকে বহিষ্কারের ব্যাপারে প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে জানানো হয়েছে, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বকুল, ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী নাসরিন পারভিন মুক্তি, ভাংগুড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আনিসুর রহমান লিটন, ভাংগুড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ভাংগুড়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী জোসনা পারভিনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে একইদিনে বগুড়া, মাগুরা ও সিরাজগঞ্জের চার নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিএনপির প্যাডে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- বিএনপির বগুড়া জেলার যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলার সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, মাগুরা জেলার সদস্য ও মোহাম্মদপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান বাচ্চু, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহফুজা খাতুন এবং দলের প্রাথমিক সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল্লা আল মামুন। তার আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড় ও পিরোজপুরের ৯ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
বহিষ্কারের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড় ও পিরোজপুরের ৯ নেতা স্থানীয়ভাবে বিএনপিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। সূত্র বলছে, ৯ নেতার প্রত্যেকেই প্রকাশ্যে বিএনপির এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রত্যেক বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা স্থানীয়ভাবে বিএনপির নষ্ট রাজনীতিকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ, পিরোজপুর ও পঞ্চগড় বিএনপির এসব বহিষ্কৃত নেতা তৃণমূলকে সাথে নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করবেন বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কৃত পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু দাউদ প্রধান বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাদের বহিষ্কার করে বিএনপি নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছে। আসলে বিএনপিকে বিভক্ত করতে চায় এমন নেতারাই কেন্দ্রীয় কমিটিতে বসে ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যে অভিযোগে নেতাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে তা খুবই সাধারণ ইস্যু। উপজেলা নির্বাচনকে কখনোই দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ঠিক না। এটি সম্পূর্ণ স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন। যে নির্বাচনে গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ তার নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বাছাই করে থাকেন। অন্যায়ভাবে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমি। আমরা যেকোন মূল্যে বিএনপিকে প্রতিহত করবো।
এমন প্রেক্ষাপটে তৃণমূল বিএনপিতে চলছে উত্তেজনা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বহিষ্কারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আর সারা দেশের তৃণমূল নেতারা যদি বিএনপিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় তবে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply