সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। তবে এখনও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসেনি বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকেরা দুই জোটের শরিকদের আসন বণ্টন নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র থেকে জানা যায়, তাঁরা ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিকদের ৫০ থেকে ৬০টি আসন ছাড়তে চান। এর মধ্যে জামায়াতকে ২০টি আসন ছাড়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
বিএনপির সূত্র জানায়, ২০ দলের শরিক জামায়াতে ইসলামী একাই ৬০টি আসন চায়। এর পরের চাহিদা অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি)। তারা বিএনপির কাছে ইতিমধ্যে ৩০টি আসনের জন্য একটি তালিকা দিয়েছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এলডিপির জন্য বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা ৫ থেকে ৬টি আসনের কথা ভাবছে। এর মধ্যে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ (চট্টগ্রাম-১৪), মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), আবদুল করিম আব্বাসী (নেত্রকোনা-১) ও শাহাদাত হোসেন সেলিমকে (লক্ষ্মীপুর-১) জোটের প্রার্থিতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
২০ দলের অন্য শরিকদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ (ভোলা-১), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে তাসমিয়া প্রধান (পঞ্চগড়-২), মসিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের রীতা রহমান (নীলফামারী-১) ও মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার মণ্ডলও (যশোর-২) জোটের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আলোচনা আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এবং খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামকে একাধিক আসনে ছাড় দেওয়া হতে পারে।
বিএনপি উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মধ্যে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে ঢাকা-১০ আসনে, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে ঢাকা-৭ ও নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে ঢাকা-৬ আসনে প্রার্থী করার চিন্তাভাবনা চলছে। ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতাদের মধ্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ মৌলভীবাজার-২, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-৭, আ স ম রবকে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ও আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইলের (৪ ও ৮) দুটি আসনের একটিতে প্রার্থী করা হতে পারে। তাঁদেরসহ ঐক্যফ্রন্টের বাকি নেতাদের বিষয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
জোটসূত্রে জানা গেছে, ২০–দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো যার যার মতো করে নিজেদের চাহিদার তালিকা তৈরি করছে, যা বিএনপি–সংশ্লিষ্ট নেতাদের হাতে দিচ্ছে। এর মধ্যে শরিক দলগুলোর মধ্যে যোগ্য প্রার্থী কে কোন আসনে আছেন, সে বিষয়ে বিএনপিও খোঁজখবর নিচ্ছেন। দু–এক দিনের মধ্যে এ নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপি আলাদাভাবে বসবে।
নির্বাচনী হাওয়া বইছে চারদিকে। শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর। যোগ্য প্রারথীরাই মনোনয়ন পাবেন এবং নির্বাচিত হবেন, এমন আশা সকলের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply