৯৫ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর কয়েক মাস আগে আমোদপ্রমোদের জন্য গাঁজা সেবনের বৈধতা দিয়েছে কানাডা সরকার। সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্রিনহাউস তৈরি করে গাঁজা চাষ করার প্রবণতাও সে কারণে বেড়ে গেছে।
কিন্তু চাষের জন্য উপযুক্ত কর্মী নেই সেখানে। অথচ গাঁজা চাষের সম্প্রসারণের জন্য প্রচুর কর্মীর চাহিদা রয়েছে।
পাঁচ বছর ধরে কানাডায় গাঁজা চাষ জনপ্রিয় হয়েছে। বৈধ ঘোষণা করার পর থেকে সেই চাষে আরো গতি এসেছে। কিন্তু দক্ষ কর্মীর অভাবে কিছুটা হলেও ধাক্কা খাচ্ছে এই চাষ। পাশাপাশি গ্রিন হাউসের প্রচণ্ড গরম কর্মীদের টিকে থাকার পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
লেমিংটনের লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি কোম্পানি আফরিয়া ইনকর্পোরেটেড গ্রিনহাউসে গাঁজা চাষ করে। সেজন্য ক্যারাবিয়ান দ্বীপ ও গুয়েতেমালা থেকে ৫০ জন কর্মীকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ করেছিল তারা।
কিন্তু এক সপ্তাহ পরই আটজন কর্মী কাজ ছেড়ে চলে যান। এ ব্যাপারে ওই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গরমকালে যখন গরম ও আর্দ্রতা চরমে থাকে তখন গ্রিন হাউসের মধ্যে কাজ করা খুবই কষ্টকর। শীতল হাওয়া চালিয়ে আমরা গরম কম করার চেষ্টা করি। কিন্তু জুলাই-অাগস্টে পরিস্থিতি খুবই কষ্টকর।
যথেষ্ট কর্মী না থাকায় ওই কোম্পানিটি প্রায় ১৪ হাজার গাঁজা গাছ নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছিল। কানাডার প্রত্যেক কোম্পানির সমস্যা প্রায় একই রকমের। এবং সেটা মূলত দক্ষ কর্মীর।
কানাডার লাইসেন্স প্রাপ্ত গাঁজা চাষ করা কোম্পানিগুলো ২০১৭ অবধি প্রায় আড়াই হাজার কর্মী নিয়োগ করেছিল। কানাডার বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় অবধি প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকের দরকার ছিল। সে দেশের লাইসেন্স প্রাপ্ত সবথেকে বড় কোম্পানি ক্যানোপি গ্রোথ কর্পোরেশনের এক হাজার দু’শ চাকরির পদ খালি পড়ে রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, কানাডার গাঁজা চাষ করা প্রথম আটটি বড় কোম্পানি প্রায় এক হাজার সাতশ কর্মী নিয়োগ করবে। সে দেশের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জানাচ্ছে, গাঁজা চাষ বৈধ হওয়ায় আগামী দিনে গাঁজা নিয়ে গবেষণা, নিষ্কাষণ ও ওইজাত দ্রব্য তৈরির জন্য প্রচুর লোক নিয়োগ করতে হবে। গাঁজা চাষ এবং সেই সম্পর্কিত শিল্পের বিস্তার আগামী এক বছরে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার লোককে চাকরির ব্যবস্থা করবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply