একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ রোববার। এর আগে গত দুই দিন টানা বৈঠক করেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করা যায়নি। গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত ১৯টি আসন ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। তবে গণফোরাম, জেএসডি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আরও একটি করে আসন চায়।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে শরিক দলগুলোর প্রার্থীদের ধানের শীষ প্রতীকের চিঠি শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে তুলে দেওয়া হয়। ৭ আসনে গণফোরাম, ৪ আসনে জেএসডি, ৫ আসনে নাগরিক ঐক্য, ৩ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিনিধিরা চিঠি নিয়েছেন।
বয়সজনিত কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তাঁর দল থেকে ৭ জন পেয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত মনোনয়ন। এর মধ্যে দলটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-৭ আসনে ও নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬ আসনের মনোনয়ন পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সুব্রত চৌধুরী।
গণফোরাম সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার-২ আসনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, হবিগঞ্জ-১ আসনে রেজা কিবরিয়া, কুড়িগ্রাম-২ আসনে আমসা আমিন, পাবনা-১ আসনে আবু সাইয়িদ, ময়মনসিংহ-৮ আসনে খালেকুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ঋণখেলাপি হওয়ায় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আসন ভাগাভাগিতে তিনটি আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে তাঁর দল। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-৪ আসনে লিয়াকত আলী, টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী ও গাজীপুর-৩ আসনে ইকবাল সিদ্দিকী নির্বাচন করবেন। এর বাইরে টাঙ্গাইল-৩ ও নাটোর-১ আসন চায় তাঁরা। শনিবার রাত ৯টায় দলটির প্রতিনিধিরা বিএনপি কার্যালয় থেকে চিঠি না নিয়ে বের হয়ে যান।
নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আজই শেষ দিন। এরই মধ্যে বিএনপিকে সমঝোতায় আসতে হবে শরিক দলগুলোর সঙ্গে। তা না হলে নির্বাচনে ঐক্য না থাকার ফল ভুগতে হতে পারে দলটিকে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply