আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ২৪ ডিসেম্বরে থেকে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। এদিকে আসন্ন নির্বাচনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে সেনাবাহিনী। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯ ও ১৩০ ধারা অনুযায়ী। তাছাড়া এবার মোতায়েন করা হচ্ছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০, ১৩১ ও ১৩২ ধারায়। ইসির খসড়া পরিপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩২ ধারার মধ্যে ১৩১ ধারায় সেনাবাহিনীর কোনো কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারকে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতেও জননিরাপত্তা বিপদগ্রস্ত হওয়ার মতো সমাবেশ ভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া আছে।
তাছাড়া নির্বাচন নিয়ে তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও এ বিষয়ে সতর্ক নজরদারি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সমন্বয় সভায় সিইসি ওই নির্দেশ ও পরামর্শ দেন।
এদিকে সভায় বক্তব্যে সিইসি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে কি না, তা-ও নজরে রাখতে বলেন। ২০১৪ সালের সহিংস অবস্থার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার ছক তৈরি করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেন তিনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply