একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। মিরপুরের এই আসনে মনোয়ার হোসেন প্রতিটি মানুষের মাঝে জনপ্রিয় নেতা বলেও জানিয়েছিল স্থানীয়রা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডিপজল মনোয়নয়ন পাননি।
তবে মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। ঢাকা ১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অভিনেতা ফারুকের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তিনি জানান, দলমত নির্বিশেষে ফারুককে সকলের ভোট দেওয়া উচিত।
ডিপজল বলেন, ‘ফারুক আমার মামু, তারে আমি মামু কই। তাঁর লগে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। তারে জিতাইতে কাজ করতাছি। মানুষের দ্বারে দ্বারে যাইয়া আমার মামুর জন্য ভোট চাইতেছি। আশা করি গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট এলাকার জনগণ আমার মামুরে ভোট দিয়া নির্বাচিত করবো।’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিনেতা বলেন, ‘ফারুক মামুর সাথে আমার সম্পর্ক বহুত দিনের, ২০ বছরের বেশিই হইবো। তাই তার পক্ষে আমি মাঠে নামছি, মানুষের কাছে গিয়া ভোট চাইতাছি। মামুরে জিতাইতে হইবো।’
ডিপজল ছাড়াও জায়েদ খানসহ একাধিক চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিনেতা ফারুকের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন জয় বাংলা ছিল আমাদের স্লোগান তেমনি এখন ধানের শীষ জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ধানের শীষ জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, পরিবর্তনের প্রতীক, পরিবর্তনের মার্কা। জনগণ তাদের মনোস্থির করে রেখেছে। এবারের খেলাটা ভিন্নভাবে হবে। হাজারে, হাজারে, লাখে, লাখে মানুষ ভোট দিতে আসবে। ভোট দেবে যাকে পছন্দ তাকে। ভারতীয় এজেন্টদেরকে ভোট দেবে না তারা।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাবনা ও শঙ্কা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আগামীকাল থেকে সেনারা নামবেন। জনগণ আমাদের সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে। তাদের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। কারণ তারা কোনো অনৈতিক কাজকে সমর্থন করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ১৫ তারিখে মাঠে (সেনাবাহিনী) নামাবার কথা জানিয়ে ছিলাম, তখন তিনি বলেন- না একটু…। আমি তখন বললাম কেন সেনবাহিনী কি পথ-ঘাট চেনে না, তাদের কাছে গুগল ম্যাপ নেই, তারা কি বাংলাদেশের সন্তান নয়, তা যদি হয় তাহলে তো আমাদের স্বাধীনতা নিরাপদ না। এভাবে আপনারা সামরিক বাহিনীকে অপমান করতে পারেন না। তখন তিনি বললেন- ২৪ তারিখে আসবেন। আমি বললাম তাদের কিছু করতে হবে না শুধু টহল দিলেই চলবে।’
জাফরুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ‘যে দেশে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেন না। সে দেশে নির্বাচন কমিশন কথা রাখবেন তা আশা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনার রিফ্লেকশন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সাম্প্রতিককালে তিনি প্রতিবার কথা ভঙ্গ করেছেন।
তিনি বলেছিলেন- সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চান। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবে, জনগণ যদি চায় তাহলেই তিনি নির্বাচিত হবেন। কোনোভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেন না। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply