আজ মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকাই চলচ্চিত্রের এভারগ্রীণ নায়ক হিসেবে খ্যাত প্রয়াত জাফর ইকবালের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯২ সালের এই দিনে জাফর ইকবাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের এই নায়ক এখনো দর্শক হৃদয়ে বেঁচে আছেন পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। কিন্তু তার বন্ধু, স্বজন, সহকর্মীসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাকে ভুলে গেছেন। তাই জন্মদিন কিংবা মৃত্যুবার্ষিকী পালন হয় না, স্মরণ করা হয় না তার স্মৃতি ও অবদানকে।
জাফর ইকবালের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকায়। নায়ক হওয়ার আগে তিনি ছিলেন একজন গায়ক। খান আতাউর রহমানের ‘রাজা সন্নাসী’ চলচ্চিত্রে ছোট রাজকুমারের ভূমিকায় অভিনয়ের স্ক্রীণ টেস্ট দিতে এসে পালিয়ে যান। ১৯৭০ সালে বশির হোসেন পরিচালিত ‘আপন পর’ চলচ্চিত্রে কবরীর সাথে প্রথম অভিনয় করেন। মুক্তি পেয়ে চলচ্চিত্রটি ও গানগুলো সুপারহিট ব্যবসা করে। গত শতকের সত্তর ও আশির দশকে অভিনয় স্টাইল, সাজসজ্জা, বাচনভঙ্গি ও চালচলনে তিনি ছিলেন আধুনিক নায়ক।
১৯৭১ সালে জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনার কাছে ধরা পড়লে বড় বোন বিশিষ্ট সঙ্গিত শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লার সহায়তায় তিনি ছাড়া পান। তার বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন একজন খ্যাতনামা সুরকার। জাফর ইকবাল ‘ফকির মজনুশাহ’, ‘বদনাম’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। কবরী, শাবানা, ববিতা, রোজিনা, অঞ্জনা, দিতি, চম্পা, সুচরিতা, কাজরী, আল্পনা, ঝুমুর গাঙ্গুলি, অঞ্জু ঘোষসহ আশির দশক পর্যন্ত সকল নায়িকার সাথে জাফর ইকবাল প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘একই অঙ্গে এতরূপ’, ‘অন্তরালে’, ‘হারজিত’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘সূর্যসংগ্রাম’, ‘ফকির মজনুশাহ’, ‘নয়নের আলো’, ‘আশীর্বাদ’, ‘গৃহলক্ষ্মী’, ‘দুই নয়ন’, ‘প্রেমিক’, ‘উসিলা’, ‘প্রতিরোধ’, ‘ফুলের মালা’, ‘সন্ধি’, ‘অবুঝ হৃদয়’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কবুল’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘মাস্তান’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘সাজানো বাগান’, ‘ছুটির ফাঁদে’, ‘লক্ষ্মীর সংসার’ ইত্যাদি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply