ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের সময় আমার হিসাব জমা দিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে দেশের সব উপজেলা, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য এখনই মৌখিক নির্দেশ দিচ্ছি। মন্ত্রণালয়ে গিয়েই অফিস অর্ডার বা নোটিশ ইস্যু করবো। যাতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাই তাদের বর্তমান সম্পদের হিসাব জমা দেন।’
বিভিন্ন ভূমি অফিসে ঝটিকা পরিদর্শন শিগগিরই শুরু করবেন একথা জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের নোটিশ ইস্যুর পর মামলা হয়। ভূমি অফিসের নিচের স্তরের এক শ্রেণির কর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত থাকে। তাই নোটিশ ইস্যুর পর মামলা টিকতে যাতে না পারে এমন একটি পদ্ধতি বের করছি। এটাই হবে নিয়ম।’
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ভূমিমন্ত্রী এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। এমএ মান্নান ফ্লাইওভার যে রাস্তায় নেমেছে, সে রাস্তার উন্নয়ন হবে। এই রাস্তার উইংগুলোকে ফোর লেইন করা হচ্ছে। বে টার্মিনাল, কর্ণফুলী টানেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সব বড় প্রকল্পের ভূমি ছাড়ে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। কর্ণফুলীর দুই পাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে। সেখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আগেও আমি স্পটে গিয়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ বিতরণ করেছি, এখনও তাই করা হবে।’
সারাদেশের ভূমি অফিসে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তাদের সাহস দিতে চাই। মাঠ পর্যায়ে হাত দিচ্ছি। উপজেলা, ইউনিয়নের সব ভূমি অফিসকে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। ভয়েস রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বিভিন্ন স্থানে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। ভূমি মন্ত্রণালয়কে শীর্ষ পাঁচের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। দুর্নীতি যেদিন স্পর্শ করবে সেদিন হবে আমার শেষ দিন। যে কেউ প্রশ্ন করলে জবাব দিতে বাধ্য থাকবো। আমি সবার সেবক হিসেবে থাকতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীত্ব হলো সেবার কাজ। চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা। আমি সবার, সারাদেশের মানুষের জন্যও কাজ করা আমার দায়িত্ব। মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্ব। দুর্নীতি আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী আমাকে পূর্ণমন্ত্রী করে পুরষ্কার দিয়েছেন। আমি সততা, দক্ষতা, স্বচ্ছতার মধ্যদিয়ে কাজ করে যেতে চাই।’
এ সময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, নির্বাহী সদস্য শহীদ উল আলম, ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, পঙ্কজ কুমার দস্তিদার, তপন চক্রবর্তী, মোস্তাক আহমেদ, এজাজ মাহমুদ, শফিউল আলম, একরামুল হক, সুমন দাশ, আলমগীর অপু প্রমুখ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply