একের পর এক বিয়ে করায় স্বামী রঞ্জিত মিয়ার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে প্রথম স্ত্রী। শুক্রবার ভোরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী খোসজান নেছাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, রঞ্জিত মিয়া ৩০ বছরের সংসার জীবনে বিয়ে করেছেন ছয়টি। কোনো স্ত্রীকেই ভাত-কাপড় দেননি তিনি। বিয়ের কিছুদিন পরই শুরু করতেন অমানুষিক নির্যাতন। বহু বিয়ের এ খল নায়কের বিচার করতে করতে গ্রামের মেম্বর থেকে শুরু করে গ্রাম প্রধানরা ছিলেন অতিষ্ট।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পর্যন্ত তার বিচার করেছে কয়েকবার। তারপরেও তাকে শাসন করা যায়নি। অবশেষে তিনি নিজেই শাস্তি দেয়ার প্রস্তুতি নেন। সিদ্ধান্ত নেন আবার বিয়ে করলেই তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার। যেই সিদ্ধান্ত সেই কাজ। চার দিন আগে স্বামী রঞ্জিত মিয়া পার্শ্ববর্তী চরগোয়ালগ্রামের পানছুরা বেগমকে বিয়ে করেন। এটা তার ছয় নম্বর বিয়ে।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে কৌশলে স্বামীকে ঘরে ডেকে এনে ধারালো ব্লেড দিয়ে পোঁচ দেন পুরুষাঙ্গে। এসময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রঞ্জিত মিয়াকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এভাবেই ঘটনা এবং স্বামীর জীবন কাহিনী বর্ণনা করেন পুলিশের হাতে আটক প্রথম স্ত্রী খোঁসজান নেছা। তিনি বলেন, মেয়েদের জীবন নষ্ট করার জন্য আমি তার উপর প্রতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিডি দাশ পিকলু জানান, রঞ্জিত মিয়ার পুরুষাঙ্গের ৯৫ ভাগ কেটে গেছে। প্রাথমিকভাবে সেটি সেলাই দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার তৃতীয় স্ত্রী কমেলা খাতুন।
স্থানীয় ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আক্তারুজ্জামান জানান, ঘটনার পর রাতেই রঞ্জিত মিয়ার প্রথম স্ত্রী খোঁসজান নেছাকে আটক করা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply