নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্রের মুখে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল মৃদুল মিয়ার নেতৃত্বে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষক কনস্টেবল মৃদুল মিয়া একই এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে। তিনি ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন।
স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, শুক্রবার বিকেলে তারাবো হাটিপাড়া এলাকার ওই স্কুলছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে বেড়াতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় তার নানা বাড়িতে আসেন। রাতে বাড়ির লোকজন পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ান বেপারীপাড়া মসজিদের বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে যান। এ সুযোগে পুলিশ কনস্টেবল মৃদুল মিয়া (২৩), ওই এলাকার সোলায়মানের ছেলে নিজাম মিয়া (২৪) ও গোলবক্স মিয়ার ছেলে ইয়াবা সম্রাট সিয়াম হোসেন (২২) স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। নির্জন স্থানে নিয়ে বখাটেরা স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওয়াজ মাহফিল শেষে করে বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী তিন বখাটেকে আটক করতে ধাওয়া করে। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক বখাটেরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল মৃদুল মিয়াসহ তিন বখাটেকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বখাটেদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তবে ধর্ষক পুলিশ কনস্টেবল মৃদুল মিয়া কোথায় কর্মরত না জানাতে পারেনি পুলিশ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply