সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মধ্যে পাঁচজনের সাজা বহাল রেখে বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার দুপুরে বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের রায়ে ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। বুধবার হাইকোর্ট এই নয়জনের মধ্যে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন এবং চারজনকে খালাস দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আসিফ ইমরান, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মো. মর্তুজা এহসান ওরফে অ্যাপোলো বিশ্বাস ও তামজিদ হোসেন বাবু। রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আপিলে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কামরুল ইসলাম আপন, রাজীব হোসেন মনা ও কাজী মুরাদ।
ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ কাজের অনিয়ম এবং দুর্নীতির সংবাদ পরিবেশন করায় সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতম দাসের ওপর ক্ষুব্ধ হয় ঠিকাদারগোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীচক্র।
২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ভোরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো অফিসে ঢুকে সাংবাদিক গৌতমকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। ওই দিনেই সমকালের পক্ষে বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান। হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পর ২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি ফরিদপুরের আদালতে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম নবী।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply