শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আসাদ থেকে গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে।
উক্ত আলোচনায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশেদ খান মেনন এমপি। সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেছেন, শহীদ আসাদ তার জীবনদানের মধ্য দিয়ে যে ইতিহাস সৃষ্টি করছিলেন, সেই ইতিহাস এ দেশের শ্রমিক-কৃষক-বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিল।
আর ইতিহাসের ধারায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় আজকের বাংলাদেশ। শহীদ আসাদের সেই রক্তমাখা শার্ট হয়ে উঠেছিল গণঅভ্যুত্থানের প্রতীক। কী আফসোস আজকের দিনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসকে ফলাও করে প্রচারে আনা হয় না।
তিনি বলেন, আসাদ ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ বিপ্লবী নেতা। তিনি একাধারে যেমন ছাত্র আন্দোলন করতেন তেমনি কৃষক আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রদের ১১ দফা এবং বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন আসাদ।
পরে ১৭ জানুয়ারি ছাত্রনেতারা দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দেন। তার ৩ দিন পর ২০ জানুয়ারি আসাদ গুলিবিদ্ধ হন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন লেখক-গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটবু্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা দাবি তোলেন শহীদ আসাদ ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করার।
আজকের বাংলাদেশ গড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন দাবীতে বাঙ্গালির আত্মত্যাগ। এই আত্মত্যাগ আমাদের তৈরী করে দিয়েছে এক গর্বিত ইতিহাস। আমাদের এই ইতিহাস শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা উচিৎ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply