রোববার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসির) নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ‘আধুনিক নাগরিক সেবা ও করণীয়’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ডিএসসিসি।
সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। উক্ত সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ্যে করে খোকন বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে সাঈদ খোকন আরও বলেন, নাগরিক সেবা বাড়াতে ২০১১ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ভেঙে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ডিএসসিসি করা হয়। কিন্তু সীমানা যথাযথভাবে ভাগ করা হয়নি। যেসব এলাকা ডিএসসিসিতে পরেছে, সেখানে সংস্থাটির আয় কম। অন্যদিকে ডিএনসিসির আয় বেশি। অর্থাৎ, ঢাকা শহর থেকে সিটি করপোরেশন যে পরিমাণ রাজস্ব পেত, এখন তার ৬০ ভাগ পায় ডিএনসিসি। ৪০ ভাগ পায় ডিএসসিসি। অপরদিকে ডিএসসিসির রাজস্ব ব্যয়ের হয় প্রায় ৬০ ভাগ। এটা বড় বৈষম্য ছিল।
সাঈদ খোকন বলেন, ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ডিএসসিসি অনেক ঋণ ছিল। সংস্থাটির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ারও উপক্রম হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থোক বরাদ্দ থেকে দেনা পরিষদ করা হয়। তারপরও এখন পর্যন্ত আয়-ব্যয় সমানে সমান ভাবে চলছে। তিনি বলেন, ডিএসসিসির অধীনে অনেকগুলো হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতি মাসে হাসপাতালে ওষুধ বাবদ অনেক টাকা খরচ হয়। প্রতি মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একটি সংস্থা এভাবে খুঁড়িয়ে চলতে পারে না। তাই তিনি নিজস্ব আয় বাড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহযোগিতা চান।
সাঈদ খোকনের আগে সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডিএসসিসির অনেকে সমস্যার কথা তিনি শুনেছেন। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ জন্য ডিএসসিসিকে প্রস্তাব দিতে হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, জ্যেষ্ঠ সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ঢাকা ওয়সার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাসকিন এ খান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, রফিক আজম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply