সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করায় যথেষ্ট ভূমিকা না রাখতে পারা দেশগুলোর একটি খসড়া তালিকায় সৌদি আরবকে স্থান দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও সৌদি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ১৬ দেশের খসড়া তালিকায় সৌদি আরবের নাম রয়েছে। ইইউর আরেকটি সূত্র বলছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে হালনাগাদ হবে তালিকা।
এতে কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে চাপের মুখে থাকা রিয়াদের জন্য এটি সুখকর নয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ভূমিকা না রাখার মাধ্যমে ইইউর ওপর ঝুঁকি তৈরি করা দেশগুলোর এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে ইউরোপীয় কমিশন।
সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং অর্থ পাচার রোধে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) মানদণ্ড অনুসরণ করেই মূলত এ তালিকা করে ইইউ। বর্তমানে এ তালিকায় থাকা ১৬টি দেশের মধ্যে রয়েছে- ইরান, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। ২০১৭ সাল থেকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে প্রস্তুত করা মানদণ্ড অনুসরণ করে চলতি সপ্তাহে এ তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে।
ওই হালনাগাদ তালিকায় সৌদি আরবের নাম থাকার কথা এখনও গোপন রাখা হয়েছে। দুটি সূত্র থেকে রয়টার্স ওই তালিকায় সৌদি আরবের নাম থাকার তথ্য পেলেও ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
জঙ্গিবাদের অর্থায়নের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে অস্থিতিশীল করতে ভূমিকা পালন করছে সৌদি আরব সহ তালিকায় থাকা সকল দেশগুলো। এর দায় দেশগুলো কোনোভাবে এড়িয়ে যেতে পারে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply