এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভুল প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের চারটি কেন্দ্রে পুরনো প্রশ্ন সরবরাহ করা হয় পরীক্ষার্থীদের। মাদারীপুরের কালকিনিতে ২০১৮ সালের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতেও গত বছরের প্রশ্নপত্র দিয়ে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা নেয়ায় ফকিরহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সারা দেশে শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) একযোগে শুরু হয় এসএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা। এরমধ্যে চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীরা জানায়, সৃজনশীল পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের একডেমিক ভবনে ১৪ ও ১৫ কক্ষের ১৯ শিক্ষার্থীকে পুরনো সিলেবাসের নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন দেয়া হয়।
বিষয়টি দায়িত্বরত শিক্ষকদের জানানো হলেও কোনো সুরাহা করা হয়নি। এতে বাধ্য হয়েই ওই প্রশ্নের পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘ক’ সেট লেখা কিন্তু সেটি ২০১৮ সালের। লেখা রয়েছে ২০১৮ সাল। অনিয়মিতদের প্রশ্নে লেখা রয়েছে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুয়ায়ী। কিন্তু আমাদের রুমে সবাই নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল।’
অভিভাবকরা বলেন, ‘ওরা আবার পরীক্ষা দিতে চায়, পুরো নাম্বার চায় না। আমরা এর বিচার চাই।’
উত্তরপত্র মূল্যায়নে এই বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস শিক্ষা বোর্ডের।
বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই কাজটি যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আর বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষর্থীদের বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
এছাড়া নগরীর মিউনিসিপল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজারের পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও ভুল প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে মাদারীপুর, গাইবান্ধায়ও।
এদিকে, রংপুরের পদাগঞ্জ স্কুল কেন্দ্রে ২০১৮ সালের সিলেবাসে প্রণিত প্রশ্নপত্রে তিনটি স্কুলের দেড়শ জনকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে পরীক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply