চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বন্যা খাতুন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মুন্সিগঞ্জ স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বন্যা খাতুন উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ তার মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা রয়েছে- আর কাউকে কখনো জ্বালাব না। কেউ আর আমাকে বকাও দিতে পারবে না। আমি এতিম, চলে গেলাম। এই চিঠিটি যখন পাবে তখন আমি এই পৃথিবীতে আর থাকব না।
আরো পড়ুনঃ কন্যা সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত!
নিহত বন্যার মামা কদর আলী জানান, খুব ছোটবেলাতে বন্যার বাবা-মা মারা গেলে নিজ বাড়িতে রেখে সন্তান স্নেহে বড় করি। ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড অভিমানী ছিল সে। কোচিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে দুপুরের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সময় মত বাড়িতে না আসায় আমরা তাকে খুঁজতে থাকি। এরপর সন্ধ্যায় ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যুর খবর পাই।
স্থানীয় জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বিকেলে ওই মেয়েকে মুন্সিগঞ্জ স্টেশনে ঘুরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মুন্সিগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার সময় দাঁড়িয়ে থাকা বন্যা হঠাৎ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply