ছোটগল্প :অধরা
শেখ আশরাফুল ইসলাম
: দৃশ্য -০৩
অর্ণব বাসায় এসে অধরাকে একদম তার সামনে পেল।অবশ্য, তাকে সে কিছু না বলে সে তার ঘরে চলে গেল।এ দিকে সন্ধ্যা গড়িয়ে আসছে।অর্ণবের বড্ড ক্লান্ত মনে হচ্ছে আজ।তাই সোজা বেডে সুয়ে পড়লো অর্ণব।তার ক্লান্ত হবার কারণে তাকে আর অধরা ডাকলো না।বেশতো এ ভাবে সন্ধ্যা পাড়ি দিয়ে গভীর রাতের দিকে সে যাচ্ছে। অর্ণবের খাবার ও অধরা তার রুমেই নিয়ে এসেছে।ঠিক যখন রাত দশ টা বাজে ছিল তখন অধরা অর্ণব কে ডেকে বললো তুমি
খাবার খাবে না।ধীরে ধীরে অর্ণবের গাঁ স্পর্শ করে ডাকতে লাগলো অধরা।অর্ণব ও দু ‘তিন স্পর্শ ডাকে সে উঠে বসলো বেডে। তারপর অধরা বললো তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি খাবার দিচ্ছি। ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার খেতে খেতে বললো তুমি খাবে না?অধরা, সংক্ষিপ্ত ভাবে বললো- না।অর্ণব আর কোন কথা না বলে তার খাবার শেষ করে সে আবার ঘুমিয়ে পড়লো। এ দিকে রাত সারে এগারো টা বেজে চলেছে।অধরা ও তার পাশেই ঘুমিয়ে পড়লো। রাত বারো টা বাজার
আরো পড়ুনঃ পাবনায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন
সাথে সাথে ঘরটা যেন আবার বাসর ঘরে রূপ নিতে থাকলো।একদম নতুন বাসর ঘর সাজানো অবস্থায়।আলোক সজ্জা এতো টাই বেশি যে আলোর চমকে অর্ণব এর ঘুম ভেঙ্গে গেল।সে দেখলো তার পাশে যেন অধরা নেই। কিন্ত,অধরা কোথায়? আর এ ঘর এতো সুন্দর সজ্জিত হল কি ভাবে।এ সব কথা না ভেবে অধরা কে খুঁজতে লাগলো। তারপর সে তার রুমের বাহির এ যেয়ে হাত মুখ ধুয়ে আসলো আর অধরা কে খুঁজতে লাগলো।ঠিক আবার সে রুম এ ফেরত
গিয়ে দেখলো অধরা আবার নব বধূ সেজে কনে রূপে বসে আছে তার বেড এর উপর।সেই লাল শাড়ি নানা স্বর্ণ অলংকার এ তার দেহ সজ্জিত পায়ে আলতা মাখা, হাতে লাল মেহেদি রাঙ্গা। অর্ণব দ্রুত কাছে যেয়ে অধরা কে বললো অধরা তুমি কোথায় গিয়ে ছিলে?আবার, নীরবতা কথা নেই যেন চারি দিক নিঃশব্দ। অর্ণব এর গত রাতে কথা ধীরে ধীরে মনে পড়তে লাগলো।সে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো কে তুমি?কে তুমি? তুমি আমার কাছে কি চাও?অধরা
কোন কথার উত্তর দিচ্ছে না।তার হাত রাঙ্গা মেহেদি দিকে অর্ণব এর নজর যেতেই দেখলো হাত বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরছে। এই দৃশ্য গুলো যেন প্রতি নিয়তই ভাবিয়ে তুলছে অর্ণব কে।আমার সাথে এ গুলো কি হচ্ছে নিজের হাতে চিমটি কেটে দেখলো সে ঠিক দেখছে তো?কিন্ত হ্যাঁ সব তো ঠিকই আছে।প্রচন্ড রাগ সহিত বলে উঠলো তুমি কে?তুমি কে?তার উঁচ্চ স্বরে ডাকার জন্য সবাই সবার রুম থেকে বাহির হয়ে আসলো অর্ণব এর রুমের সামনে।তারপর অর্ণব এর ঘরটা যেন আলোকসজ্জা হীন হতে লাগলো।এ যে সকল প্রমান বিলিন হয়ে গেল!!
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply