কক্সবাজারে ছুটি কাটাতে এসে হোটেল রুম না পেয়ে রাস্তায় খোলা আকাশের রাত কাটানো শতাধিক পর্যটককে রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা নিয়েছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
শহরের রেঁনেসা হোটেল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বসতবাড়িতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মহান একুশে ‘শহীদ দিবস’ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে লোকে-লোকারণ্য পর্যটন নগরী কক্সবাজার। হোটেলে রুম না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন অনেক পর্যটক৷
সন্ধ্যার পর থেকে কিছু হোটেলে বেশি দামে রুম নিয়ে ওঠলেও অনেক পর্যটকেরই রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা হয়নি।হোটেলে রুম না পেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পর্যটকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে রাত ১১টার পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেন।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা মঈন উদ্দীন ঢাকার কল্যাণপুর ও মিরপুর থেকে আসা ৫০ জনের একটি গ্রুপকে বিমান বন্দর সড়কস্থ একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও কক্সবাজার শহরের হোটেল রেনেসাঁর ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলে ওই হোটেলের অডিটোরিয়াম হলে ২০ জনের রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মঈন উদ্দীন বলেন, কলাতলী থেকে আসার পথে দেখতে পাই অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে রাস্তার পাশে বসে আছেন। এদের মধ্যে কলাতলী মোড়ে অবস্থান করা পর্যটকদের একটি গ্রুপকে রুমের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য অনেকগুলো হোটেলে কথা বলি। কিন্তু কোথাও কোন বিহীত না হওয়ায় চাচার খালি বাসায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করি।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, ছাত্রলীগ মানবিক ছাত্র সংগঠন৷ হোটেলে রুম না পেয়ে অনেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলো। এদের মধ্যে কিছুসংখ্যক পর্যটকের রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করে আমাদের ছেলেরা।
তিনি বলেন, এনজিও কর্মকর্তারা কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোতে অফিস আর মাসিক ভিত্তিতে রুম নিয়ে নেয়ায় পর্যটকদের জন্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply