শীতের মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে খেজুর গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহী অঞ্চলের গাছিরা। এ মৌসুমে এ অঞ্চলের অনেকে গুড় তৈরি ও বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে গুড়ের দামে খুব একটা সন্তুষ্ট নন তারা। ফলে বেশি মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গুড় তৈরিতে ব্যবহার করছে চিনি ও ক্ষতিকর হাইড্রোজ। ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা জানান, গাছিদের উৎপাদিত খেজুর গুড় চাহিদা ভেদে চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
শহরায়ণের ছোঁয়ায় রাজশাহী অঞ্চলে প্রতি বছর উজাড় হচ্ছে অসংখ্য খেজুর গাছ। এ কারণে রস সংগ্রহ যেমন কমে গেছে, তেমনি কমেছে গুড়ের উৎপাদনও।
তবে সীমিত পরিসরে হলেও ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে হিম শীতল বাতাসে গাছিরা বেরিয়ে পড়েন খেজুরের রস সংগ্রহে। এরপর সংগৃহীত রস জাল দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। সপ্তাহে দু’দিন গুড় বিক্রির উদ্দেশ্যে হাটে তোলেন গাছিরা। কার্তিক থেকে মাঘ এই চারমাস রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া ও দূর্গাপুর উপজেলায় গ্রামে গ্রামে এমন চিত্র চোখে পড়ে সর্বত্রই। তবে গুড়ের দামে সন্তুষ্ট নন গাছিরা।
এদিকে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় চিনি ও ক্ষতিকর হাইড্রোজ মিশিয়ে গুড়ের রং আকর্ষণীয় করে তুলছে। বাজারে প্রতি কেজি গুড় পাইকারি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং খুচরা ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা থাকায় এ অঞ্চলের খেজুর গুড় ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ চলে যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে।
জেলায় ৮১ হাজারের বেশি খেজুর গাছ রয়েছে রস সংগ্রহের উপযোগী। সব মিলিয়ে শীতের এই মৌসুমে অন্তত ১০ কোটি টাকার গুড় কেনাবেচা হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / ক.আ।
Leave a Reply