হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ নানা অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ আগামী ১৬ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। রাজধানীর পুরান ঢাকায় কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস এদিন ঠিক করে আদেশ দেন।
সোমবার (৪ মার্চ) মামলাগুলোর শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সবগুলো মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্ট স্থগিত করেছে জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া। মামলাগুলো হচ্ছে- রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮টি, যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি।
এরমধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। বাকি ১০ মামলা ছিল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করা হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
আর ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply