সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কিডনিতেও সমস্যা ধরা পড়েছে। এ ছাড়া তার শরীরে ইনফেকশনও (সংক্রমণ) রয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি জানান, হাসপাতালে নেয়ার পরপরই ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তার (ওবায়দুল কাদের) শরীরে কিছু ইনফেকশন ও কিডনির সমস্যা পাওয়া গেছে। তবে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন নেই।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলোর প্রতিবেদন দুপুরের পর পাওয়া যাবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওবায়দুল কাদেরের পরবর্তী চিকিৎসা শুরু হবে। তার অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলোজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও প্রিন্সিপাল ডক্টর ফিলিপ কোহ’র তত্ত্বাবধানে (আইসিইউ ৩০০৮) ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা চলছে। সেখানে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদের ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসের রিজভী।
এদিকে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দূতাবাসের সঙ্গে তার চিকিৎসার বিষয়ে প্রতি মুহূর্তে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। রাত ৮টা দিকে বিমানবন্দরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ল্যান্ড করার পরই তাকে নেয়া হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।
সোমবার ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে কলকাতা হয়ে দুপুর ১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি। দুপুর দেড়টার দিকে কালো রঙের একটি প্রাইভেটকারে করে বিএসএমএইউ-তে প্রবেশ করেন দেবী শেঠি। মূলত তার পরামর্শে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। হাসপাতালে তিনি কাদেরের শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখেন। এ সময় শেঠি ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীকে বলেন, ইউ আর ভেরি লাকি।
গত রোববার (০৩ মার্চ) ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রথমে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হলেও পরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় তাকে। এনজিওগ্রামে কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply