নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলের সহযোগী আরিফকে বিদেশি অস্ত্র-গুলিসহ আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে শহরের রায়পাড়া পশু হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি চাঁচড়া রায়পাড়া তালতলার মোড় এলাকার করুনার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত বারেক শেখ ওরফে রবির ছেলে। এব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
কোতোয়ালি থানার এএসআই শফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য এসআই শাহিদুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার পশু হাসপাতালের সামনে যান। এসময় পুলিশ দেখে আরিফ পালানোর চেষ্টাকালে ধাওয়া করে পুলিশ আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পিছনে কোমরে থাকা একটি আমেরিকার তৈরি পিস্তল এবং দুইটি রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় এদিনই তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আরিফ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ষষ্ঠীতলা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমাস হোসেনের ছেলে মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেলের সেল্টারে আরিফ নানা ধরনের অপরাধ অপকর্ম চালিয়ে আসছে। একইভাবে ভাইপো রাকিব, হিটার নয়ন, বাপ্পি, সাব্বির, সুইপার পট্টির আরিফ, রনি, রকি, শান্তি ও রাশেদসহ অনেককে অস্ত্র হাতে দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে ব্যবহার করে আসছে। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করতে ম্যানসেল ওই সকল যুবকের হাতে অস্ত্র দিয়ে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন, ডাকাতি, বোমাবাজি করে আসছে। আর সে কারণে গত ২৮ জানুয়ারি প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায়
পুলিশের হাতে আটক হয়। শুধু তাই নয়; ওই সময় তার আরেক সহযোগী মেহেদী হাসান অনিককেও আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এঘটনার মামলায় ম্যানসেল বর্তমানে আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। এছাড়া তার সহযোগী হাসিব বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরিত বোমার স্প্রিন্টারে আহত হয়। একইদিন ম্যানসেলের আরেক সহযোগী একরাম পুলিশের কাছে আটক হয়। পরে তিনি শহরকে অশান্ত করতে বড় ভাই ম্যানসেলের নির্দেশে বোমা তৈরির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply