২০৭০ সালের মধ্যে ইসলাম হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্ম। ইসলাম ধর্ম এমন একটি ধর্ম যা বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির থেকেও দ্রুত গতিতে এই ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৫০ বছর পর বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর থেকে অনেক বেশি হবে।
বিশ্বখ্যাত সমীক্ষা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম হলেও ২০৭০ সালের মধ্যে ইসলামই হবে বৃহত্তম ধর্ম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ছিল ২২০ কোটি। এটা তখনকার মোট জনসংখ্যা ৬৯০ কোটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এ সময় মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৬০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩ ভাগ।
মুসলমানদের মধ্যে জন্মহার বৃদ্ধির কারণে ২০৫০ সালে খ্রিস্টান ও মুসলমান জনসংখ্যা হবে প্রায় সমান সমান। এরপর ২০৭০ সালে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে মুসলমানদের সংখ্যা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইউরোপসহ বিশ্বের বহু অঞ্চলে আগামী বছরগুলোতে দ্রুত ইসলাম ধর্মের অনুসারীর লোকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১০ থেকে ২০৫ এই ৩০ বছরের মধ্যে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়বে ৭৩ শতাংশ, যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন। অন্য দিকে, খ্রিষ্টান জনসংখ্যা বাড়বে ৩৫ শতাংশ।
একই সময়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর জনসংখ্যা অল্প হলেও বাড়বে। আগামী ২০ বছরে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে শীর্ষে যাবে মুসলমানরা! আগামী ২০ বছরে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে শীর্ষে যাবে মুসলমানরা!
আগামী ২০ বছরে- বর্তমানে সারা বিশ্বে যেকোনও সম্প্রদায়ের থেকে খ্রিস্টান শিশুর জন্মই বেশি দেন মায়েরা। তবে আগামী ২০ বছরে চিত্রটা পাল্টাতে চলেছে। মুসলিম মায়েদের প্রসব করা সন্তানের সংখ্যা বেশ খানিকটা বাড়তে চলেছে। মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।
এই সংস্থার গণনা বলছে, ‘এখন থেকে ২০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে খ্রিস্টানদের থেকে মুসলিম শিশু জন্মের সংখ্যা বাড়তে চলেছে।’ এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে ও আগামী কয়েক বছরে বিশ্বের মোট মৃত্যুর মধ্যে বেশিরভাগই হয়েছে বা হতে চলেছে খ্রিস্টানদের। কারণ তাদের জনসংখ্যায় তুলনামূলকভাবে বার্ধক্যের পরিমাণই বেশি।
উল্টোদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা সেই তুলনায় অনেক বেশি নবীন এবং তুলনামূলকভাবে তাদের ফার্টিলিটি রেটও বেশি। পিউ রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০৩০-৩৫ সালের মধ্যে খ্রিস্টান শিশুর (২২৪ মিলিয়ন) থেকে মুসলিম শিশু (২২৫ মিলিয়ন) বেশি জন্মাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও মোট খ্রিস্টান জনসংখ্যা সর্বাধিকই থাকবে।’ ২০১৫ সালে এই মার্কিন সংস্থার প্রোজেকশন ছিল, আগামী এক দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা ধর্মীয় দল হবে মুসলিমরা।
পিউ-এর তরফে বলা হয়, এই দাবি যে সঠিক হতে চলেছে তার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই মিলেছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা ইন্দোনেশিয়ায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply