পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রকর্মটির নাম নিঃসন্দেহে ‘মোনালিসা’৷ প্রায় পাঁচশত বছর আগে ইতালির চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা এ ছবিতে আমরা দেখতে পাই সেই রমণী, সেই রহস্যে ভরা মুখশ্রী, মুখে রহস্যময় হাসি৷ সে যত না সুন্দরী, তার চেয়ে আরও আকর্ষণীয় তার মুখের ওই চাপা হাসিটুকু৷ মোনালিসা নাম জুড়েই যেন হাসি। তবে সে হাসি সাধারণ হাসি নয়, সে যেন এক রহস্যময় ভূবন জুড়ানো হাসি। মনকাড়া এ হাসির জন্য কয়েক শতাব্দী ধরে সারা দুনিয়ায় আলোচনার বিষয় ‘মোনালিসা’৷ বহু শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সঙ্গীতশিল্পী এবং লেখককে অনুপ্রেরণা জোগায় এই শিল্পকর্ম৷ মোনালিসার ৫০০ বছরের ইতিহাস এখনও মানুষকে আবিষ্ট করে৷
এবার সেই রমণীর বেশে হাজির হলেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ বিজয়ী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। গত ৮ মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর এই দিনটিকে মাথায় রেখে আরটিভি প্রতিবছরই আয়োজন করে জয়া আলোকিত নারী অনুষ্ঠান। প্রতিবারের মত এবারও রাজধানীর সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এটি। আর এই অনুষ্ঠানে ৮টি ক্যাটাগরিতে ৮ জন নারী বিভিন্ন লুকে হাজির হয়ে র্যাম্পে হাঁটেন। সেই আটজনের একজন হলেন ঐশী। আর তিনিই হাজির হয়েছেন ৫০০ বছর আগে সৃষ্টি হওয়া মোনালিসার চিত্রকল্পে। পুরো অনুষ্ঠানের কোরিওগ্রাফি করেছেন র্যাম্প মডেল বুলবুল টুম্পা। আর কস্টিউম ডিজাইন করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার ফারদিন বায়েজিদ।
বুলবুল টুম্পা জানান, নারী দিবসকে মাথায় রেখে আরটিভি প্রতিবছরই আয়োজন করে জয়া আলোকিত নারী অনুষ্ঠানটির। তারাই আমাকে এ রকম প্ল্যান দেয় কাজ করার জন্য। মোনালিসার এই চিত্রকল্পের সঙ্গে যায় এমন একটা নামই আমার মাথায় আসল প্রথমে, আর সেটা ঐশী। তাকে দেখতে অনেকটা মোনালিসার মতই মনে হয় আমার। আর সেজন্যই তাকে সিলেক্ট করি। সে খুব সুন্দরভাবে সেটি ফুটিয়ে তুলেছে।
মোনালিসার অভিব্যক্তি, মুখে রহস্যমাখা হাসি পৃথিবীর অসংখ্য মানুষকে অভিভূত করে রেখেছে৷ আজকাল রহস্যময় কিছুকে মোনালিসার হাসির সঙ্গে তুলনা করা হয়৷ এমন বিশ্ব বিখ্যাত চিত্রকল্পের লুকে হাজির হতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত ঐশী।
ঐশী বলেন, এই কাজটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ মোনালিসার এই চিত্রটি পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আলোচিত। সেই রহস্যময়ী হাসির অধিকারিনী নারীর চরিত্র ধারণ করা আমার জন্য সত্যি-ই খুব কঠিন ছিল। ছোট বেলা থেকে অনেকে দুষ্টুমি করে আমাকে মোনালিসা বলে ডাকতো। বড় হয়ে একদিন এই ক্যারেক্টার প্লে করব কে জানতো? আর সবাই দেখে খুশি হয়েছে ও প্রশংসা করছে। এটাই আমার জীবনের অন্যতম একটি অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বিখ্যাত এই রমণীর লুকে আমাকে নেওয়ার পুরো প্ল্যানিং টা মূলত বুলবুল টুম্পা খালামনির। তার মনে হয়েছে এই লুক টা আমার সাথে ভালো যাবে। আর তার সাথে কস্টিউম ডিজাইনার ফারদিন বায়েজিদ ভাইয়াও আমার নাম শোনার পর থেকে বেশ এক্সাইটেড ছিল। কারণ দেশে ফেরার পর এটাই আমার প্রথম প্রফেশনালি র্যাম্পে হাঁটা আর তাও আবার এরকম একটা লুকে। আমি খুব খুশি এ রকম একটা কাজ করতে পেরে।
উল্লেখ্য, দেশে ফিরে বর্তমানে বেশ ব্যস্ত রয়েছেন ঐশী। এরই মধ্যে কাজ করেছেন বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিওতে। এছাড়াও খুব শিগগিরই তাকে দেখা যাবে চলচ্চিত্রেও।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply