নিউজিল্যান্ডের নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আল নূর মসজিদে হামলাকারী তার হেলমেটে বসানো ক্যামেরায় গুলি চালানোর পুরো দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
কী কারণে হামলা হয়ে থাকতে পারে তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ইউরোপ থেকে অভিবাসী কমিয়ে ফেলার দাবিতে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, হামলাকারীর নাম ব্রেনটন টারেন্ট। তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। মসজিদে হামলার আগে তিনি ফেসবুকে লাইভে যান। একই সঙ্গে ৭৩ পৃষ্ঠার লিখিত কর্মসূচি অনলাইনে প্রকাশ করেন।নিউজিল্যান্ডের কাউন্টার টেররিজম পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ইউরোপ থেকে অভিবাসী কমানোর দাবিতে এ হামলা হতে পারে।
অন্যদিকে হামলার ঘটনায় এক বন্দুকধারীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বন্দুকধারীর ব্রাশ ফায়ারে নিহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশিসহ ৪০ জন। ঘটনার পর ওই স্থান থেকে কয়েকটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্টাফ এক প্রতিবেদনে হামলার পরবর্তী মুহূর্তের একাধিক ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানকার একটি ছবিতে দুই মুসলিম ব্যক্তিকে রক্তমাখা পোশাকে নামাজ পড়তে দেখে গেছে।এদিকে হামলাকারীর কাছে একটি বড় বন্দুক ও কয়েকশ রাউন্ড গুলি ছিলো। তিনি গায়ে মিলিটারিদের মতো পোশাক পরে ছিলেন বলে জানিয়েছেন হামলার সময় আটকে পড়া এক ব্যক্তি। প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘তিনি (বন্দুকধারী) ভিতরে ঢুকলেন এবং মসজিদের সবাইকে শ্যুট করা শুরু করলেন। তিনি আরও জানান, কমপক্ষে ৫০ বার গুলি ছুঁড়েছেন তিনি। তার সঙ্গে একাধিক ম্যাগজিন ছিলো। কয়েকশ রাউন্ড হতে পারে।
তিনি আরও জানান, হামলাকারী মাথায় হেলমেট থাকায় তার সম্পূর্ণ চেহারা দেখতে পারেননি তিনি।
হাতের রক্ত কাপড় দিয়ে আটকে তিনি আরও জানান, হামলার সময় মসজিদের একটি গ্লাস হাত দিয়ে ভেঙ্গে তিনি পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। এ সময় গ্লাসের সঙ্গে লেগে তার হাত কেটে যায়।নিজের অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, ‘আমার জানালা ও দরজার গ্লাস ভেঙ্গে সবাইকে বের করতে হয়েছিলো। আমরা চেষ্টা করছিলাম, যেভাবেই হোক সবাইকে এই এলাকা থেকে দৌড়ে দূরে পাঠানোর। কিন্তু আমরা সবার জন্য দরজা খুলতে পারিনি।’
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় শুক্রবার দেড়টার দিকে মসজিদে হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভও করেন অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা ২৮ বছর বয়সী ওই শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী। ক্রাইস্টচার্চে ভিডিওটি অনলাইনে না ছড়াতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে পুলিশ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply