নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা ওই মাঠে অনুশীলনে করছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা মসজিদটিতে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। তবে তারা মসজিদে প্রবেশের আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মসজিদে হামলাকারী ওই ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তবে এখনো তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনার পর কাছাকাছি শহরতলি লিনউডের মসজিদে হামলা হয়। ওই হামলাতেও একই ব্যক্তি জড়িত কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আল নূর মসজিদে বন্দুকধারী যখন গুলি করছিলেন তখন একটি ছোট্ট কক্ষে ওজু করছিলেন আনোয়ার আল সালেহ নামের পাকিস্তানি নাগরিক। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে থাকছেন। তিনি ওজু করার সময় ওজুখানার পাশ দিয়েই হেঁটে যাচ্ছিলেন বন্দুকধারী। তখন তিনি নিজেকে আড়াল করেন এবং ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
এ সময় বন্দুকধারীর একটি কথা কানে আসে আনোয়ারের। বন্দুকধারী বলতে থাকেন, ‘আমি আজ মুসলমানদের খুন করতে এসেছি।’
আনোয়ার আরও বলেন, ঘটনা শুরুর প্রায় ২০ মিনিট পর পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তখন তিনি মসজিদের ভেতর অনেকগুলো লাশ পড়ে থাকতে দেখেন, তাদের মধ্যে নারি ও শিশুর লাশও ছিল।
নিউজিল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্টাফ নিউজকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘তিনি (বন্দুকধারী) ভিতরে ঢুকলেন এবং মসজিদের সবাইকে শ্যুট করা শুরু করলেন। কমপক্ষে ৫০ বার গুলি ছুঁড়েছেন। তার সঙ্গে একাধিক ম্যাগজিন ছিল। কয়েকশ রাউন্ড হতে পারে।’ তবে হামলাকারী মাথায় হেলমেট থাকায় তার সম্পূর্ণ চেহারা দেখতে পারেননি তিনি।
হাতের রক্ত কাপড় দিয়ে আটকে ওই ব্যক্তি আরও জানান, হামলার সময় মসজিদের একটি গ্লাস হাত দিয়ে ভেঙে তিনি পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। এ সময় গ্লাসের সঙ্গে লেগে তার হাত কেটে যায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply