চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ২৫ শয্যা হাসপাতালে দুই জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম। ফলে, ওই এলাকার প্রায় ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নির্ভর করছে মাত্র দুই জন ডাক্তারের ওপর। যেখানে ভোগান্তির শেষ নেই রোগীদের।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্ব্যস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন চিকিৎসক খাতা-কলমে থাকলেও সাময়িক আদেশে এবং প্রেষণে মোট ৯ জন ডাক্তার তাদের সুবিধা মত চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে শতাধিক রোগীর ভিড়। তাদের স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক ডা. মুকবল হোসেন। পাশের রুমে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. এলিচ আক্তার।
সকালের শুরুতেই বহির্বিভাগে রোগীদের দীর্ঘ সারি নিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন এ দুই ডাক্তার। তবে, জরুরি বিভাগে মুমূর্ষু রোগীরা আসলে সেখানে দৌড়ে যান ইমার্জেন্সি রুমে। পরে আবারও ফিরে যান বহির্বিভাগে। ততক্ষণে রোগীদের ভিড় বেড়ে যায় অনেকখানি।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার নতিপোতা এলাকার মজিবর রহমাস (৬২) নামে এক বৃদ্ধা জানান, সকালে বহির্বিভাগে সেবা নিতে এসেছিলাম। প্রায় ২ ঘণ্টার অপেক্ষার পর চিকিৎসকের কাছে যেতে পারি।
এদিকে, জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষারত জাহেরা বেগম, লিয়াকত আলী ও ফাতেমা খাতুন জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকটে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। চিকিৎসক কম থাকায় দূরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হয় আমাদের মত মানুষের, যা অত্যন্ত ব্যয় বহুল।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্বীকার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল জানান, হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসক, ইচ্ছা থাকলেও চাহিদা মতো সেবা দিতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি এই চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের উন্নতর সেবা দিতে ।
চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুল আলম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিগগিরই খালি পদ পূরণ করা হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply