স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস.এম কামাল হোসেন টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বেদীর পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর নেতৃবৃন্দ সুরা ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধু, ৩০ লাখ শহীদ, জাতীয় চার নেতা, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এস.এম আক্কাস আলী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগ, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতি স্বাধীনতা দিবসের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে স্বাধীনতা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে গোপালগঞ্জ শহরের বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আ’লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন করা হয়। জেলার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় প্রার্থনা, হাসপাতাল, কারগার, শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply