তাসভীরুলের মুক্তি দাবি করেছে ফখরুল

রাজধানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শনিবার রাতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীরুল ইসলামকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে তিনি অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন। রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সরকারের চরম ব্যর্থতায় জনমনে যে ধিক্কার উঠেছে সেটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই তাসভীরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাসভীরুল ইসলাম ওই ভবনের মালিকও নন ডেভেলপারও নন। তিনি ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ফ্লোর কিনেছেন মাত্র। সুতরাং তিনি কোনভাবেই দায়ী হতে পারেন না।

ফখরুল বলেন, সম্পূর্ণরুপে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তাসভিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুধুমাত্র জনগণের নিকট বিএনপিকে দোষী করার জন্য। বহুতল ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি অনুসরণে সরকারের গাফিলতি এবং আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের দৈন্য-দশায় দেশে একের পর এক আগুনে পুড়ে মানুষের মৃত্যুতে যে ট্র্যাজেডির সৃষ্টি হেেয়ছে সেটির দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে সরকার নির্দোষ সাজতে চাচ্ছে।

ফখরুল বলেন, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হওয়ার জন্যই উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই অপচেষ্টার শিকার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম। এফআর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্যায়ভাবে তাকে জড়িয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ফখরুল বলেন, যে সরকারের আমলে রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ভবন নির্মান কাজ হয়, ভবন নির্মানের পর হেলে যায়, ভবনের টেকনিক্যাল উপযোগিতা যাচাই না করে মানুষের বসবাস ও বানিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয় এবং ইমারত নির্মান বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুসরণ করা হয় না সেই সরকারের আমলে মানুষের জীবন যে ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। এগুলির দায় সরকারের। এই সরকারের আমলে মানুষের নিশ্চিন্তে মৃত্যুর সুযোগ নেই। অপঘাত, দুর্বিপাক, দুর্ঘটনা ও অস্বাভাবিক মৃত্যুরই এখন জয়জয়কার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চকবাজারের চুড়িহাট্টা, বনানীর এফআর টাওয়ার, গুলশানের কাঁচা বাজারে আগুনসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ডে মানুষের প্রাণহানিতে চারিদিকে শুধু ট্র্যাজিডিরই পুণরাবৃত্তি ঘটছে। গণবিচ্ছিন্ন ও জবাবদিহিহীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সুশাসনের পরিবর্তে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত বলেই জনস্বার্থের বিষয়টি সবসময় তাচ্ছিল্য করছে। ফলে নানা দূর্ঘটনায় প্রায় প্রতিদিনই মানুষের অকাল মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারী আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলছে।