অনর্থক প্রশ্ন করা ঠিক নয়
হাদীস: হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) হুজরা থেকে বের হয়ে মসজিদে আসলে আবদুল্লাহ বিন হুযাইফা দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার পিতার নাম কি? উত্তরে হুজুর (সাঃ) বললেন, “হুযাফা” তোমার পিতার নাম। অতঃপর হুজুর (সাঃ) ক্রোধের সাথে বার বার বলতে লাগলেন, তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর।
অবস্থা দেখে হযরত ওমর (রা) রাসূলেপাক (সাঃ) এর সম্মুখে হাটু ভেঙ্গে বসে বললেন, আমরা সবাই মহান আল্লাহকে প্রতিপালক ইসলামকে ধর্ম হিসেবে এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে আল্লাহর নবী ও রাসূল হিসেবে মেনে নিয়ে সন্তুষ্ট আছি। এ বাক্যটি হযরত ওমর (রা) তিন বার বললেন। এরপর রাসূলেপাক (সাঃ) এর রাগ প্রশমিত হলো এবং চুপ হয়ে গেলেন।
রাসূল (সাঃ) এর কথা বলার নিয়ম
হাদীস: হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) যখন কোন কথা বলতেন, তখন তা বার বার বলতেন। আর কোন লোকের কাছে আসলে জায়গা বিশেষ তিনবার সালাম করতেন।
তিন ব্যক্তি দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী
হাদীস: হযরত আবু মূসা আশআরী (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তিন প্রকার লোক দ্বিগুণ অধিকারী হবে। যে ব্যক্তি ইয়াহুদী বা খ্রীষ্টান ছিল, সে ধর্ম পরিত্যাগ করে, মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর ঈমান এনেছে। দ্বিতীয় : ঐ ক্রীতদাস যে আল্লাহর হক এবং মনিবের হক আদায় করে।
তৃতীয়ত : যে ব্যক্তির কাছে কোন ক্রীতদাস ছিল সে তাকে উত্তম রূপে আদব কায়দা ও দ্বীনী এলেম শিক্ষা দিয়েছে এবং ঐ দাসীকে স্বাধীন করে বিয়ে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দান করেছে। এই সমস্ত ব্যক্তিরা দ্বিগুণ সাওয়াবের অধিকারী হবে। হাদীস বর্ণনাকারী তাঁর ছাত্রদেরকে বলতেন, তোমরা বিনা পরিশ্রমে এত বড় হাদীস পেয়ে গেলে।
পূর্বের জমানায় এর চেয়ে ছোট একটি হাদীসের জন্য মানুষ দূর দেশ থেকে অনেক পথ অতিক্রম করে মদীনায় আসত।”
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply