সংগঠনের ছয় কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ করতে থাকা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার কিছু আগে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আন্দোলনে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।
গত ৩১ মার্চ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। ঘটনার পর দুটি হলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় সংগঠনটির ছয় কর্মীকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেয় পুলিশ।
মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে ধর্মঘট ডাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশ।ধর্মঘটের শুরুতেই সকাল সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশনে আটকে দেয়া হয় শাটল ট্রেন। ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে এক লোকো মাস্টারকে তুলে নিয়ে যায়। কয়েকটি বগির হোস পাইপ কেটে দেয়ার ঘটনাও ঘটে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
ছাত্রলীগ কর্মীদের দাবি, যে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ অস্ত্র মামলা দিয়েছে। অথচ অভিযানের সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে অস্ত্র পায়নি।প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুপুর ১২টার কিছু আগে পুলিশ আন্দোলনকারীদের মূল ফটক থেকে সরে যেতে বলে। কিন্তু ছাত্রলীগ কর্মীরা তাতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশও তাদের ছাত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর ছাত্রলীগ কর্মীরা শাহ আমানত হল ও কাটাপাহাড়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে। এখনো ক্যাম্পাসে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বন্ধ করে এভাবে আন্দোলন চলতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতিসাপেক্ষে ছাত্রলীগ কর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে সংগঠনটির কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply