হাদীস: হযরত উসামা ইবনে যায়িদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরাফার ময়দান হতে যাত্রা শুরু করলেন। গিরিপথে গিয়ে সওয়ারী হতে নেমে পেশাব করলেন। তারপর অযু করলেন কিন্তু উত্তমরূপে অযু করলেন না। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নামাজ আদায় করবেন কি? তিনি বললেন, নামাজের স্থান তোমার সামনে।
অতঃপর তিনি আবার সওয়ার হলেন। মুযদালিফায় এসে সওয়ারী থেকে নেমে অযু করলেন। এবার পূর্ণাঙ্গভাবে অযু করলেন। তখন নামাজের জন্য ইকামত দেয়া হলো। তিনি মাগরিবের নামাজ আদায় করলেন।
তারপর সকলে তাদের অবতরণ স্থলে নিজ নিজ উট বসিয়ে দিলেন। পরে এশার ইকামত দেয়া হলো। তিনি এশার নামাজ আদায় করলেন এবং নামাজের মাঝে অন্য কোন নামাজ আদায় করলেন না।
পর্দার জন্য হযরত ওমর (রা) আগ্রহ
হাদীস: হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পত্নীগণ রাতের বেলায় প্রাকৃতিক প্রয়োজনের জন্যে খোলা ময়াদানে যেতেন। আর হযরত ওমর (রা) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতেন, আপনার সহধর্মীগণকে পর্দায় রাখুন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তা করেননি।
এক রাতে এশার সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পত্নী সাওদা বিনতে যাম’আ (রা) প্রকৃতির ডাকে বের হলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘাকার। হযরত ওমর (রা) তাকে ডেকে বললেন, হে সাওদা (রা)! আমি কিন্তু আপনাকে চিনে ফেলেছি। পর্দার হুকুম অবতীর্ণ হওয়া আগ্রহে তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর আল্লাহ তায়ালা পর্দার হুকুম অবতীর্ণ করলেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply