হাদীস: হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও রাসূল (সাঃ) একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করতাম। যে পাত্রে গোসল করতাম সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো।
গোসলের নিয়ম:
হাদীস: হযরত মায়মুনা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জানাবাতের গোসল করলেন। প্রথমে তিনি লজ্জাস্থান ধুয়ে নিলেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষে ধুয়ে নিলেন। অতঃপর নামাজের অযুর মতো অযু করলেন এবং গোসল শেষ করে তিনি পা ধুয়ে নিলেন।
গোসলের সময় পর্দা:
হাদীস: হযরত উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূল (সাঃ) এর কাছে গিয়ে তাকে গোসলরত অবস্থায় দেখতে পেলাম। হযরত ফাতেমা (রা) তাকে পর্দা করে রেখেছেন। রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওখানে কে? আমি বললাম, আমি উম্মে হানি।
অপবিত্র অবস্থায় ঘুমানো:
হাদীস: হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের কেউ জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি উত্তর দিলেন হ্যাঁ। অযু করে নিলে জানাবাতের অবস্থায়ও ঘুমাতে পারবে।
জানাবাত অবস্থায় একই পাত্রে গোসল:
হাদীস: হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও রাসূল (সাঃ) জানাবাত অবস্থায় একই পাত্র হতে পানি নিয়ে গোসল করেছি। তিনি আমাকে সেলোয়ার পড়ার নির্দেশ দিলেন এবং আমি সেলোয়ার পরে নিলাম।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমার হায়েয অবস্থায় আমার সাথে ঘেষাঘেষি করে শুতেন। তাছাড়া তিনি এতেকাফ অবস্থায় মাথা বের করে দিতেন, আর আমি হায়েয অবস্থায় তার মাথা ধুয়ে দিতাম।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply