নাটোর-৪ আসনের সাংসদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, ‘আমি এলাকায় (গুরুদাসপুর) থাকলে পুকুর খনন হয় না, আর না থাকলেই চলে মহোৎসব। পরিবেশ দূষণ আর ফসল নষ্ট করে কৃষি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের ফলে ধ্বংস হয়েছে হাড়িভাঙ্গা বিল। পুকুরের মাটি বহনকারী গাড়িগুলোর কারণে দশ বছরের জন্য নির্মিত পাকা সড়ক দশ মাসও টিকছে না।’
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে কথাগুলো বলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রীপরিষদের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান।
প্রধান অতিথি স্থানীয় প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা নেয়া হতো, এখন ১৫ হাজার করে টাকা নিয়ে পুকুর খনন করতে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে এলাকার প্রায় ৮শ হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পৌর এলাকাসহ আবাসিক এলাকায় ইটভাটা ও বয়লার চাতাল মিল নির্মাণ হচ্ছে। একদিকে আমরা উন্নয়ন করছি, আর অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে- এতে লাভ কি হলো?’
প্রধান অতিথি থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কোনো পুকুর খনন আমি দেখতে চাই না। ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের প্রথম কর্মদিবসের ওই বিশেষ সভায় উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা, ছয় ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে পুকুর খনন কর্মযজ্ঞ চলে আসছে। আমরা মাঝেমধ্যেই অভিযান চালাচ্ছি। গুরুদাসপুরে আর একটিও পুকুর খনন হতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply