কয়েকটি চার্চ ও তারকা মানের হোটেলে একযোগে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক পালন করছে স্তব্ধ বিমূঢ় শ্রীলঙ্কাবাসী। গত রবিবারের ওই বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১১ জনের দাঁড়িয়েছে। কলম্বো পুলিশের মুখপাত্র রাবন গুসাসেকারা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, আহত পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে মারা গেছেন।
আজ সকালে তিন মিনিট নীরবতার মধ্য দিয়ে ভারত মহাসগারের এই নৈসর্গিক দ্বীপ দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের কার্যক্রম শুরু হয় বলে চ্যানেল নিউজ এশিয়ার খবরে বলা হয়। পুরো দেশে সব সরকারি-আধা সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা রাখা হয় অর্ধনমিত। বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত সেন্ট সেবাস্টিয়ানের গির্জায় শেষকৃত্য শেষে নিহতদের কয়েকজনকে শোয়ানো হয় গণকবরে।
দুই দিন আগে ঠিক একই সময়ে এই গির্জাটিসহ সাত জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত কেউই এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও দেশটির একটি গোষ্ঠি এই হামলায় জড়িত থাকতে পারে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো আভাস দিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত পরিস্কার করে কিছু নিশ্চিত করেনি।
এদিকে হামলার দুদিন পর বসছে সংসদ অধিবেশন। এখান থেকে হামলার বিষয়ে সরকারি বিবৃতি আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবারের ওই হামলায় এপর্যন্ত ৪০ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীলঙ্কান পুলিশ। যদিও তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় হামলাকারীরা শ্রীলঙ্কান হলেও তাদের সঙ্গে বিদেশীদের যোগাযোগ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কায় এসেছে পৌঁছেছে ইন্টারপোলের একটি টিম।
শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী ক্যাথলিকদের সংখ্যা ছয় শতাংশ মাত্র। ইস্টারের প্রার্থনার কারণে গির্জায় বেশ ভিড় ছিল, তাই এই নির্দিষ্ট সময়টাকেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে বলে মত কলম্বো পুলিশের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply