হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) বলেন, একবার নামাযের জন্য ইকামত বলা হয়েছে। দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা হয়েছে। রাসূলেপাক (সাঃ) হুজরা মুবারক থেকে বের হয়ে এসেছেন। যখন তিনি নামায আদায়ের জন্য মুসাল্লায় দাঁড়ালেন তখন হঠাৎ তার স্মরণ হলো যে, তিনি অপবিত্র অর্থাৎ তাঁর উপর গোসল ওয়াজিব।
অতঃপর রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমরা তোমাদের জায়গায় অপেক্ষা কর। তারপর হুযুর (সাঃ) হুজরা মুবারকে চলে গেলেন। অতঃপর গোসল সেরে তিনি পুনরায় মসজিদে আমাদের সামনে হাজির হলেন।
ঐ সময় রাসূলেপাক (সাঃ) এর মাথার চুল মুবারক থেকে পানির কাতরা ঝরতেছিল। অতঃপর রাসূলেপাক (সাঃ) নামাযের জন্য তাকবীর বললেন। আমরা তার সাথে নামায আদায় করলাম।
জাহেলিয়াতের সময় উলঙ্গ হয়ে গোসল করত:
হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সা) বলেছেন, বনী ইসরাইলের লোকেরা উলঙ্গ হয়ে একত্রে গোসল করতো। তারা একে –অপরের অঙ্গ দেখতো এ জন্য মূসা (আ) একাকী অবস্থায় গোসল করতেন।
তখন তারা বললো। আল্লাহর শপথ! হযরত মূসা(আ) কে আমাদের সাথে একত্রে গোসল করতে কে নিষেধ করল, অবশ্যই তার অন্ডকোষদ্বয় বড়, তাই তিনি একাকী গোসল করতেছেন।
হযরত মূসা (আ) একদিন গোসল করতে গেলেন। কাপড় খুলে তিনি একখানা পাথরের উপর রাখলেন। গোসল শেষে যখন তিনি কাপড় পরার জন্য উঠলেন হঠাৎ উক্ত পাথরখানা তাঁর কাপড়সহ দৌড়াতে লাগলো। এ অবস্থা দেখে হযরত মূসা (আ) ও উক্ত পাথরের পিছনে দৌড়াতে লাগলেন।
আর বলতে লাগলেন, হে পাথর আমার কাপড় দাও। হে পাথর আমার কাপড় দাও। পাথর খানা দৌড়ে গিয়ে এমন স্থানে থামল যেখানে বনী ইসরাইলের লোকগণ সমবেত হয়েছিল। বনি ইসরাইলগণ হযরত মূসা (আ) এর গোপন স্থান দেখতে পেয়ে বলল, “আল্লাহর কসম! মূসা (আ) এর তো কোন প্রকার দোষ নাই।
অনর্থক তাকে দোষারোপ করা হয়েছে। অতঃপর সেখানে গিয়ে মূসা (আ) তার কাপড় খানা হাতে নিলেন। রাগের কারণে পাথরকে পিটাতে লাগলেন।
হযরত আবু হোরায়রা (রা) বলেন, আল্লাহর কসম হযরত মূসা (আ) এর আঘাতের চিহৃ স্বরুপ উক্ত পাথরে ৬ (ছয়) অথবা ৭ (সাত) টি দাগ পড়ে গিয়েছিল। রাসূল পাক (সাঃ) হতে হযরত আবু হোরায়রা (রা) আরো বর্ণনা করেন, এক সময় হযরত আইউব (আ) উলঙ্গ অবস্থায় গোসল করতে ছিলেন হঠাৎ তার শরীরে স্বর্ণের ফড়িং পড়তে লাগল।
অতঃপর হযরত আইউব (আ) সেগুলোকে ধরে কাপড়ে ভরতে লাগলেন। তখন আল্লাহ তা’য়ালা তাকে ডাক দিয়ে বললেন। হে আইউব! আমি কি তোমাকে এ সমস্ত দুনিয়াবী সম্পদ থেকে মুক্তি করিনি? তুমি এখন তার প্রতি আকৃষ্ট উত্তরে হযরত আইউব (আ) বললেন, হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! আমি কিন্তু তোমার রহমত হতে বেখেয়াল হই নেই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply